রাজশাহীতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে

রাজশাহীতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে

শীতের সবজির সরবরাহে সরগরম রাজশাহীর পাইকারি বাজার বানেশ্বর হাট। আশপাশের দুই উপজেলার কৃষকের আনা সবজিতে সয়লাব হাট। সবজিসহ হাটে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হলেও পিছু ছাড়ছে না নানা সমস্যা। 

প্রতিদিন শীতের সকালে আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠা সূর্যের সঙ্গে সবজি তুলতে ব্যস্ত কৃষক। শীতের সঙ্গে বেড়েছে মাঠের সবজি বাজারজাতের উপযোগিতা। তাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভালো দামের প্রত্যাশায় আগেভাগে সবজির ঢাকি নিয়ে ছুটেন ব্যবসায়ীরা। দুর্গাপুর-চারঘাট উপজেলায় চাষ করা মুলা, ফুলকপি, লালশাক, পালংশাকসহ হেক্টর পর হেক্টর জমির হরেক জাত ও মানের সবজি উঠছে বানেশ্বরের হাটে।

এক বিক্রেতা বলেন, ফুলকপি ৪০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে আগের তুলনায় এখন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। 

সবজির বিপুল এ উৎপাদনকে ঘিরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে গড়ে উঠেছে এ হাট। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবারকে লক্ষ্য রেখে এ হাটে আসছেন সিলেট, ঢকা-চট্টোগ্রামসহ নানা জায়গার পাইকাররাও। এ বিষয়ে একজন বলেন, এখান থেকে মাল কিনে ঢাকা, ময়মনসিংহে পাঠিয়েছি। 


প্রতিহাটে বাড়ছে সবজির জোগানের সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। তবে আছে হাটের জায়গা সংকুলান না হওয়ার অভিযোগ। 

রাজশাহীর বানেশ্বর হাট ইজারাদার মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বর্ষাকালে বাজারে অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাছপট্টি, গোস্তপট্টি বাজারে অবস্থা আরও খাবার হয়ে যায়। ফলে ক্রেতাদের বাজারে আসতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এ ছাড়া এই বাজারের কোনও ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। ফলে যেখানে সেখানে পানি জমতে দেখা যায়। 

বানেশ্বরের এ হাটে ৭ শতাধিক কৃষক সবজি উৎপাদন ও বাজার জাতের সঙ্গে জড়িত। প্রতি হাটে বেচাকেনা হয় কয়েক লাখ টাকার সবজি।

আপনি আরও পড়তে পারেন