সংবাদ প্রকাশের পর মুজিববর্ষের চারা বিতরণ শুরু

সংবাদ প্রকাশের পর মুজিববর্ষের চারা বিতরণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ

নওগাঁর আত্রাইয়ে মুজিববর্ষের চারা নার্সারীতে রেখে কাগজে কলমে বিতরণ শিরোনামে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর চারাগুলো বিতরণ শুরু করেছেন বন কর্মকর্তা ( ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক। বন বিভাগের নার্সারী থেকে এই চারাগুলো বিতরন কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাটকালু পাড়া ইউনিয়নে লোক মারফত ১হাজার ৫শত ফলজ এবং বনজ চারা ভ্যানে ওঠাচ্ছেন।

সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে চারা তৈরীর পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০হাজার ৩শত ২৫টি ফলজ এবং বনজ চারা তৈরী করেন বন বিভাগ। তার ধারাবাহিকতায় আত্রাই উপজেলায় নিজস্ব নার্সারীতে চারা তৈরী করা হয়।

চারাগুলো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান, শ্মশান, রাস্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও স্থাপনার নামে রেজিস্ট্রারে বিতরণ দেখানো হয়। যদিও চারাগুলো বন বিভাগের নার্সারীতে রাখা হয় যা সরবরাহ করা হয়নি।

কারণ হিসেবে বন্যায় মাঠ-ঘাট এবং রাস্তা ডুবে যাওয়া, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বলা হচ্ছে। তবে যাদের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে তারা বা প্রতিষ্ঠান সরবরাহ নিতে শুরু করেছেন বলে জানান ফরেস্টার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাগান সমিতির সদস্য অভিযোগ করে বলেন চারাগুলো এভাবে বিতরণ দেখিয়ে তাদের তাগাদা না দিয়ে অনেকদিন অতিবাহিত হলে তারা ভুলে যাবে। সেই সুযোগে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ফরেস্টার কম দামে চারাগুলো বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবেন।

বিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ: মান্নান মোল্লা জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আমাদের নিকট হতে স্বাক্ষর নিয়েছেন ফরেষ্টার। তবে আমি কোন চারা সরবরাহ পাইনি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক সাংবাদিককে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে বিতরনের লক্ষ্যে বিশ হাজার তিনশত পঁচিশটি ফলজ এবং বনজ চারা তৈরী করা হয়েছে। চারাগুলো বিতরণ না করে রেজিষ্ট্রারে দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। একটু পরে বলেন যাদের বা প্রতিষ্ঠানের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে তারা চারা নিয়ে যেতে শুরু করেছেন।

বিকাশ চন্দ্র প্রাং
নওগাঁ।

আপনি আরও পড়তে পারেন