যত ইচ্ছে নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না!

যত ইচ্ছে নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না!

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ

নিউজ করলেন তদন্ত হলো প্রমাণও পেলো বদলির আদেশ হলো সেটা আবার বন্ধ করে এখনও আপনাদের এখানে চাকুরী করছি। যত ইচ্ছে নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না। আমি নেহায়েত চাকুরী করছি তা-না হলে, কী হতো ?

সরি ভাই আমি সে ভাবে বলতে চাইনি। গত ২২নভেম্বর আত্রাই বন বিভাগের নার্সারীতে বৃষ্টিতে ভিজে উই পোকায় খেয়ে নষ্ট হতে যাওয়া সরকারী গাছের ছবি তুলতে গেলে গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে এমন দাম্ভিকতার সুরে কথা বলছিলেন আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন এতো সাধু লোক কোথায় পাবেন ? আমি সততার সাথে চাকুরী করছি। আমার সবকিছু জেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) জানেন।

জানা গেছে, গত ৬মার্চ ২০১৯তারিখে আত্রাইয়ে বন কর্মকর্তার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়া রাস্তার গাছ কর্তন শিরোনামে কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) দৃষ্টিগোচর হলে তৎক্ষনাত নওগাঁ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) গত ৯মার্চ ২০১৯তারিখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পান বলে অবগত করেন।

তিনি রিপোর্টের বিষয়ে জানান, ২/৩ দিনের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রাজশাহী বরাবর পাঠিয়ে দিব। সে মোতাবেক রিপোর্ট পেয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হককে রাজশাহীর বাগমাড়া উপজেলায় বদলির আদেশ দেন।

আদেশ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য কারনে সেই আদেশ স্থগিত করেন। তারপর থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে পুনরায় নাম্বার বিহিন রাস্তার গাছ বিক্রি, মুজিব বর্ষের চারা তৈরীর টাকা নয়-ছয়, মুজিব বর্ষের চারা নার্সারীতে রেখে রেজিস্ট্রারে বিতরণ দেখানো ইত্যাদি বিষয়ে একের পর এক অনিয়ম করে চলেছেন মোজাম্মেল হক ।

একদিকে বিভিন্ন সময় নানান কৌশলের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রয় করে যেমন বন কর্মকর্তা ও অসাধু ব্যাবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে, অন্য দিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এলাকা বাসির দাবি কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত এই বনখেকো কর্মকতাকে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রয় করার দাবি জানান।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নিউজ তো অনেক হলো কিছুই হলো না এবার একটু থামেন। নষ্ট কাঠের ব্যাপারে তিনি বলেন তালিকা করে রাজশাহী ডিএফও অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা যা করার করবেন আমার দায় দায়িত্ব নাই।

আপনি আরও পড়তে পারেন