ঝালকাঠির রাজাপুরে হত্যার অভিযোগে বাবা-মেয়ে গ্রেপ্তার

ঝালকাঠির রাজাপুরে হত্যার অভিযোগে বাবা-মেয়ে গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে মো. আজিজুল হক মাসুদ (৩৮) কে হত্যার অভিযোগে স্কুল শিক্ষিকা নুরুন নাহার সুমি ওরফে মায়া (৩১) ও তার বাবা মো. শহিদুল বিশ্বাস (৫৯) কে গ্রেপ্তার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ। এ বিষয় শনিবার সন্ধ্যায় নিহত আজিজুল হকের ছোট ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম সোহেল বাদী হয়ে বাবা ও মেয়েকে আসামি করে ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ২১)। মামলার পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা বরিশাল সদরের চাঁদমারি এলাকার মাদ্রাসা সড়কের বাসিন্দা।


জানাযায়, সুমি ও নিহত আজিজুলের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুমি উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গনিত বিভাগের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত থাকার কারনে হাজী মঞ্জিলের তিন তলার ছাদে চিলিকোঠার একটি রুমে ভাড়া থাকতো ও তার বাবা শহিদুল বিশ্বাস নৈকাঠি এলাকার শহিদুল ইসলামের ‘স’ মিলে কাঠ কাটার মিস্ত্রী ছিলেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যার ধোনাই এলাকার মৃত আবুল কালাম আজাদের পুত্র আজিজুল হক ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের এলিফ্যান্ট রোডের ভাড়া বাসায় থেকে এটিএন নিউজ চ্যানেল টিভিতে চাকুরি করতেন।

নুরুন নাহার সুমির পায়ের হাড় নষ্ট হয়ে যায়। ঐ পায়ের চিকিৎসার জন্য ৬ বছর যাবৎ ঢাকার সরোয়ারর্দী হাসপাতালে যাওয়া-আসার সুবাধে আজিজুলের সাথে সুমির পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে।


ঘটনার পূর্বে ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমির সাথে আজিজুলের মুঠো ফোনে কথা হয়। কিছুক্ষন পরে রাত ৮টার দিকে সুমির হবুবর রাজিব আজিজুলের মাকে মুঠো ফোনে জানায় আজিজুল ঝালকাঠিতে আসার কথা রয়েছে, আসলে ভালো হবেনা বলে ফোন কেটে দেয়।

রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আজিজুল ঈগল পরিবহনের একটি বাসে রওনা হয়ে ২৭ নভেম্বর সকালে রাজাপুর উপজেলার হাইজ্যাক মোড় নেমে ঐ এলাকার হাজী মঞ্জিলের ৩য় তলায় ছাদে চিলিকোঠায় সুমির ভাড়া বাসায় উঠে।

এ সময় সুমির হবুবর রাজিবকে নিয়ে সুমি ও আজিজুলের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ পর্যায়ে সুমি কৌশলে তিন তলার ছাদ থেকে আজিজুলকে নিচে ফেলে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহার ভূক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন