কলাপাড়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম করলেন ইউপি চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসীরা

কলাপাড়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম করলেন ইউপি চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসীরা

মোঃ শহিদুল ইসলাম::কলাপাড়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে বিসমিল্লাহ্‌ ব্রিকফিল্ডের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার (৬৬)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী।

গতকাল রবিবার বিকালে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর বিসমিল্লাহ্‌ ব্রিকফিল্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্বার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাৎক্ষনিক বরিশালের শেরে – বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপালে তাকে রেফার করেন।

বর্তমানে অর্থপেডিস ইউনিটে মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন?তার সন্তানরা জানান,আমার বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, এলাকায় তাকে সবাই ভালোবাসে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই,ভদ্র শান্তা মানুষ,সুনাম সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন

।ঈশান্বিত হয়ে পার্শবর্তি টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু মিরা ৫ম বিবাহ করে চাকামুইয়া ইউনিয়ানে এলিজা নামের এক নারীকে,এই নারীর সাথে থেকে রাজত্ব কায়েম করতে চায় এই ইউনিয়নে,এক পর্যায় শিমু মিরা সস্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন।

এক পর্যায়ে তিনি আমার বাবার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করতে থাকে, টাকা না দিলে প্রাননাশের হুমকি দিতে থাকে বিভিন্ন সময়,এমনি কি শিমু মিরার ৫ম স্ত্রী এলিজা বেগমও  টাকার জন্য চাপ দিতে তাকে,চাদা না দিলে ব্রিকফিল্ট বন্ধের হুমকি প্রধান করতে থাকেন।এমন অবস্থায় চাদাকৃত টাকা না দেয়ায়  শিমু মিরার নির্দেশে ব্রিকফিল্টের অফিস কক্ষ থেকে টেনে হিছরে জনসম্মুখে স্ত্রী খাদিজ বেগম,জহিরুল, সবুজ,খলিল,রুবেল সহ অজ্ঞাত ২০/৩০ জন স্থানীয় চিন্হিত সন্ত্রাসীরা দেশীও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাত,দুই পা ভাঙ্গা দেয়,এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রক্তাক্ত করে ফেলে রাখে যায়।

সন্তানরা এই সস্ত্রাসীদের দৃস্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।এলাকাবাসির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান,শিমু মিরা অর্থও নারী লোভী তার রয়েছে হাফ ডজনের বেশি বিবাহ।তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তাঅভিযোগ,জমি দখল,চাদাবাজি টেন্ডারবাজি,জালিয়াতি,বিচারশালিশি তে পক্ষ পাত্বিত্ব।এই করে কামিয়েচেন কোটি কোটি টাকা।

গড়েছেন অটেল সম্পাদ।তার রয়েছে বিএনপির সাথে নিবির সম্পর্ক। মোঃ শাহ আলম কলাপাড়া উপজেলার চাকা মইয়া ইউনিয়নের ৩ নং শান্তিপুর গ্রামের মৃত আলী আকবর হাওলাদারের ছেলে।এ ব্যাপারে রাতে টিয়াখালী চেয়ারম্যান শিমু মিরা, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ।

১১ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে, এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন বলে জানান কলাপাড়া থানার ওসি।শিমু মীরার কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়ে চাকা মইয়ার চেয়ারম্যান বলেন,নানা অপকর্মের হোতা শিমু মিরা তার এখন লাগাম টেনে ধরতে হবে বলে তিনি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন