শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের ফাঁসি

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের ফাঁসি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রিয়াদ প্রধান নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে মামলার দুই আসামি রিয়াদ প্রধান ও ধলি বেগমকে পুলিশি পাহারায় আদালতে আনা হয়। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বিচারক রায় প্রদান শুরু করেন। এ সময় প্রজেক্টরের মাধ্যমে আদালতের দেওয়া রায় প্রদর্শন করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ জুন পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর উত্তর পাড়া গ্রামের এক শিশুকে আম খাওয়ানোর কথা বলে একই গ্রামের রিয়াদ প্রধান তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাড়ির কাজের মেয়ে ধলি বেগমের সহায়তায় ধর্ষক রিয়াদের শোবার ঘরের খাটের নিচে গর্ত করে পুঁতে রাখে। পরে পুলিশ ধর্ষক রিয়াদকে গ্রেফতার করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই শিশুর লাশ খাটের নিচে গর্ত খুঁড়ে পুলিশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আসামি রিয়াদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি রিয়াদকে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ নিহতের স্বজনদের কাছে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। অন্যদিকে আসামি ধলু বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত শিশুর মা আছিয়া বেগম বলেন, এ রায়ে তারা খুশি। তবে চূড়ান্তভাবে রায় কার্যকর করা হলেই তার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে ।

মামলায় এদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী কাওছার আলী জানান, আমরা বাদী পক্ষের ১৯ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি প্রমাণ করতে শতভাগ সক্ষম হয়েছি। আদালত আসামি রিয়াদ প্রধানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজিবী ফিরোজ আহাম্মেদ জানান, এ রায়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার যায়নি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন