রোকেয়া পদক পেলেন মঞ্জুলিকা চাকমা

রোকেয়া পদক পেলেন মঞ্জুলিকা চাকমা

সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটির পাহাড়ি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম নারী উদ্যোক্তা মঞ্জুলিকা চাকমা পেলেন ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২০’। রোকেয়া দিবসে বুধবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় তাকে এ পদক দেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক-২০২০ প্রাপ্তদের, সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক বিতরণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি।

মঞ্জুলিকা চাকমা প্রাথমিক জীবন শুরু করেন শিক্ষাকতা দিয়ে। ১৯৬১ সালে তিনি শাহ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১৫ বছরে পার্বত্য তিন জেলার মধ্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মাননা পান। শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৯৬৫ সালে আদিবাসী বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে ‘বেইন টেক্সটাইল’ নামে আদিবাসী তাঁত বস্ত্র প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন মঞ্জুলিকা চাকমা।

সে সময় তিনি মাত্র দুটি তাঁত যোগাড় করে কোমর তাঁতের বুনন পদ্ধতিসহ হস্তচালিত তাঁত প্রয়োগ করেন। মঞ্জুলিকা চাকমা প্রথম পরীক্ষামূলক আদিবাসীদের কোমড়-তাঁতের সাথে আধুনিক তাতেঁ মিশ্রন ঘটাতে সফল পান। ১৯৭৬ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোপুরিভাবে জড়িয়ে পড়েন নিজের ব্যবসায়। বর্তমানে তাঁর ১৬-১৭টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ কাজ করেন।

মঞ্জুলিকা চাকমার জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৬ অক্টোবরে রাঙ্গামাটি শহরে। পিতা কালী রতন খীসা ও মাতা পঞ্চলতা খীসার অতি আদরের মেয়ে মঞ্জুলিকা চাকমা। চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে মঞ্জুলিকা চাকমা ছিলেন তৃতীয়।

তার স্বামী চিরঞ্জীব চাকমা মঞ্জুলিকার টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানটি দেখা-শোনা করেন। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। কারুশিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ পান মঞ্জুলিকা চাকমা।

আপনি আরও পড়তে পারেন