ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাজশাহীর দিলীপ খালকো ভিকটিম তরুণীকে বিয়ে করায় তার এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে জামিনের অপব্যবহার করলে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও আদেশে বলেছেন আদালত।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বিয়ে করায় এ সংক্রান্ত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দিলীপ এ জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

হাইকোর্টের গত ২২ অক্টোবরের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর রাজশাহীর কারা ফটকে দিলীপের সাথে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বিয়ে হয়।

একই সাথে বিয়ের পর এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আদালতের আদেশ মোতাবেক বিয়ের বিষয়টি অবহিত করে জামিন আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে আদালত দিলীপকে এক বছরের জামিন দিল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলার সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপের সাথে তার খালাতো বোনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয় এবং ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান দিলীপ।

এ নিয়ে ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ী থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে ভুক্তভোগী। এ মামলায় রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। রায়ে বলা হয়, যখন ভুক্তভোগী ধর্ষণের শিকার হন তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

দিলীপ ২০১২ সালে আদালতের রায়ের পর থেকে কারাবন্দী ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের ওপর শুনানিকালে তার আইনজীবী জানান, ভুক্তভোগী ও আসামি বিয়ে করতে সম্মত। জামিন পেলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে। পরে কারা ফটকে তাদের বিয়ের আয়োজন করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত।

আপনি আরও পড়তে পারেন