নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নতুন আইনে অবাধে হচ্ছে মামলা-ক্ষোভ প্রকাশ চালকদের

নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নতুন আইনে অবাধে হচ্ছে মামলা-ক্ষোভ প্রকাশ চালকদের

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর জেলাখানার মোড় সহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নতুন আইনে অবাধে হচ্ছে মামলা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নতুন আইনকে বাস্তবায়ন করতে অনেক কঠোর হয়ে পড়েছে। ফলে মোটর সাইকেল চালকরা সহ সাধারণ চালকরা খুবই বিপাকে পড়ে গেছে। কারণ বর্তমানে লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা থাকায় অনেকেরই লাইসেন্স সঠিক সময়ে না হওয়ায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি জরিমানার টাকা এবং খেতে হচ্ছে ট্রাফিক আইনে মামলা। 

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও ৯ জন আহত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের’ মুখে সরকার ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস করে। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপে এটি কার্যকর করতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়।


নতুন সড়ক পরিবহন আইনে বেশির ভাগ ধারার জরিমানা ১০ থেকে ৫০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে যেসব ধারায় এক মাস কারাদন্ডের বিধান ছিল, এখন তা দুই বছর পর্যন্ত হয়েছে। আইনের বেশির ভাগ ধারাতেই সর্বোচ্চ শাস্তি কত হবে তা আছে, সর্বনিম্ন শাস্তির উল্লেখ নেই।


নতুন সড়ক পরিবহন আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে নরসিংদীর ট্রাফিক পুলিশ।


নতুন আইনে পুলিশের এই মামলা দেওয়ার বিষয়টি সম্প্রীতি সময়ে নজরে আসে সকলের।

এদিকে আজ ১২ ই ডিসেম্বর রোজ শনিবার জেলখানার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আসাদ সহ তার সঙ্গীয় ফোর্সরা মোটর সাইকেল আটকিয়ে চেক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় দিচ্ছে মামলা এবং জরিমানা করছে টাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চালকরা, তাদের অভিযোগ আমরা বিআরটিএ তে সঠিক সময়ে সবকিছু দিয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছি না। আবার এদিকে মামলা থেকেও রেহাই মিলছে না। বর্তমানে আমরা সকল দিক থেকেই বিপদে।


এদিকে নরসিংদীর ট্রাফিক কর্মকর্তারা সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানিয়েছেন, নতুন আইনে মামলা ও জরিমানার বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যাতে জনসাধারণের কোনো ভুল-বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্য তারা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেউ যখন আইন লঙ্ঘন করছেন, তখন প্রথমত তাঁর ভিডিও চিত্র ধারণ করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে থামিয়ে আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। তিনি কীভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেন, সেটিও বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ধারায় তাঁকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। মূলত ট্রাফিক পুলিশের প্রতি যে একধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি নিরসনেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।


এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নরসিংদীর ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সঠিক আইন বাস্তবায়ন করার জন্যই এই কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু এই আইনকে পুঁজি করে কিছুতেই চালকদের অযথা হয়রানি করা উচিত নয়। তাহলেই ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসাধারণের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন