টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ২ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৩ জনকে যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ২ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৩ জনকে যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ২ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৩ জনকে যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চতুর্থ শ্রেণীর ২ জন শিক্ষার্থী ইমরান ও শাকিলকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যাককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। 


আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাহাদুর মিয়া, মিল্টন, রনি মিয়া।  আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মালেক, শাহিনুর, জহিরুল ইসলাম। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, মো. শামিম, আরিফ জাকির হোসেন।


রায়ের সময় ৮ আসামী আদালতে  উপস্থিত ছিলেন৷  এ ঘটনায় ১ আসামী পলাতক রয়েছেন। এ হত্যা মামলার ৯ আসামীর মধ্যে ৫ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় ১৬ জন স্বাক্ষী দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ৮ জুন আদালতে চাজশীট জমা দেয়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৩ টার দিকে মির্জাপুরের হাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য শাকিল ও ইমরান বাড়ি থেকে বের হয়।

পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে না আসায় তাদের খুজাখুজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন৷  পরদিন ২৮ জানুয়ারি মামলার বাদির মামা জোসনা বেগমের কাছে ফোন দিয়ে ১ লাখ টাকা চাদা দাবি করে ফোন বন্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৪ টার দিকে গুমগ্রাম বাজারের লেবু ক্ষেত থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শাকিলের মা বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন৷  মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অতিরিক্ত পিপি ও এ মাললায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম খান আলো। 

আপনি আরও পড়তে পারেন