টাঙ্গাইলে দুই শিশু অপহরণ পর হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদন্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে দুই শিশু অপহরণ পর হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদন্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

অন্তু দাস হৃদয়, টাঙ্গাইল থেকে ঃ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই শিশু অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড, ৩ জনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বেলা সোয়া ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও প্রত্যেককে আসামীকে একলাখ টাকা জরিমানার রায় ধার্য করেন তিনি।

মৃত্যদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, ঢাকার ধামরাইয়ের চর চৌহাট তারা মিয়ার ছেলে মিল্টন (২২), শামছুল হকের ছেলে বাহাদুর মিয়া (২২) ও মির্জাপুর উপজেলার সুজানিলজা গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২৫)।

আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হলেন, ঢাকার ধামরাইয়ের চৌহাট গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে শাহিনুর এলাইজ শাহা (৩০), শশ্বধরপট্টি গ্রামের মরেজের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০) ও মির্জাপুর উপজেলার আমরাইল তেলীপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৫)।

এ ছাড়া বাকি তিনজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের তাজেল মিয়ার ছেলে আরিফ (২৮), ও মির্জাপুর উপজেলার আমরাইল তেলীপাড়ার জব্বার মল্লিকের ছেলে জাকির হোসেন (২৮) ও ধামরাই উপজেলার চর চেহৈাট গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে শামীম মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে আরিফ পলাতক রয়েছে।

অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি খোরশেদ আলম জানান, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের হাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় ঢাকার ধামরাইয়ের চর চৌহাট গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিল (১০) ও একই গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের ছেলে ইমরান (১১)।

পরদিন ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে এক করে মোট এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে নিখোঁজ ওই দুই শিশুর জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

৩০ জানুয়ারি শনিবার শিশুর মা জোসনা বেগস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৮ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।

দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। এর পর ৮ আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বাকি এক আসামী আরিফ পলাতক রয়েছেন।


১১জনের নামে পুলিশ চার্জশীট প্রদান করে। এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ও মনোয়ারাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি।

আপনি আরও পড়তে পারেন