দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে ‘জেন্ডার’ ও ‘সামাজিক বিষয়’ অন্তর্ভুক্ত

দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে ‘জেন্ডার’ ও ‘সামাজিক বিষয়’ অন্তর্ভুক্ত

দেশে প্রথমবারের মতো দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে জেন্ডার ও সামাজিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজ।

একইসঙ্গে তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতকারী ও ব্যবহারকারীদের জন্য পদ্ধতিগত নির্দেশনা ও নিয়ম-কানুনও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।  

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান সেল।

সেমিনারে ‘পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে জেন্ডার ও সামাজিক বিষয় অন্তর্ভুক্তি’ সংক্রান্ত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিবিএস-এর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। 

সেমিনারে জাতিসংঘের উইমেন-এর প্রতিনিধি ডিলরুবা হায়দার বলেন, বিশ্বের কোথায় দুর্যোগে জেন্ডার ও সামাজিকভাবে কেমন ক্ষতি হয় বা সেগুলোর সূচক কিভাবে নির্ণয় করা যাবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। এর মাধ্যমে দেশের বাইরেও সংশ্লিষ্টরা একটি ধারণা পাবে। এছাড়া এ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত এগিয়ে নিতে সহজ হবে। 

পরিবেশবিদ ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমান বলেন, কোনো দুর্যোগকে মোকাবিলা বা তার আগাম প্রস্তুতির জন্য চারটি বিষয় অত্যাবশ্যক। পরিসংখ্যান, তথ্য, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বা সিদ্ধান্ত। এ চারটি বিষয় থাকলেও যে কেউ যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারবে। 

দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে জেন্ডার ও সামাজিক বিষয় অন্তর্ভুক্তি’ সংক্রান্ত একটি বইয়ে ২৬টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬টি বাস্তবায়ন করবে পরিসংখ্যান ব্যুরো। বাকি ১০টি সূচক বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ।

আপনি আরও পড়তে পারেন