পদ্মা-মেঘনায় চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় লঞ্চে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, একজন আটক

পদ্মা-মেঘনায় চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় লঞ্চে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, একজন আটক

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী এমএল শাহ আলী-৪ লঞ্চে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে একজন ডাকাত সদস্য আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকা কাচিকাটা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুরের ভোজেশ্বর থানার পাঁচক গ্রামের কোহিনুর বেগম নামে যাত্রী ফোকাস মোহনাকে বলেন, তারা একই পরিবারের ৪জন লঞ্চে ছিলেন। ডাকাত সদস্যরা তাদেরকে জিম্মি করে স্বর্ণগহনা নিয়ে যায়।নড়িয়া থানার উত্তর নড়িয়া গ্রামের আরেক যাত্রী আব্দুল জাব্বার মাঝি বলেন, তিনি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে আসছিলেন।

ডাকাত সদস্যরা তার নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।আরেক যাত্রী সুমন মিয়া বলেন, ডাকাতরা তার নগদ ৭ হাজা টাকা ও মোবাইল নিয়ে গেছে। এভাবে লঞ্চে থাকা সকল যাত্রীর মূল্যবান জিনিসপত্র ২০ মিনিটের মধ্যে স্পীটবোট নিয়ে চলে যায়।লঞ্চের মাষ্টার হেলাল হোসেন ফোকাস মোহনাকে বলেন, সকাল ৮টায় নড়িয়া থেকে লঞ্চটি ছেড়ে আসে।

সাড়ে ৯টার দিকে কাচিকাটার দিকে আসলে দু’টি স্পীড বোট দিয়ে আসা ১৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল লঞ্চে উঠে। প্রথমে তারা লঞ্চের ড্রাইভারকে মারধর করে এবং লঞ্চের গ্লাস ভাংচুর করে।

পরবর্তীতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে লঞ্চে থাকা ৫০জন যাত্রীকে জিম্মি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণ গহনা ও মূূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।এদিকে ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পেয়ে সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর লোকজনও তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশও লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছন এবং ডাকাতির ঘটনার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।চাঁদপুর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, শাহ আলী লঞ্চটি সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে এসে পৌঁছায়।

পরে এসআই জয়নাল ডাকাত সদস্যকে থানায় হস্তান্তর করে। ডাকাতির ঘটনায় লঞ্চের ম্যানেজার আক্তার হোসেন মামলা করেছেন। আটক ডাকাত সদস্য থানা হেফাজতে রয়েছে

আপনি আরও পড়তে পারেন