শার্শায় গোড়পাড়ার চাতাল মালিক হাফিজুর রহমানের নামে ধর্ষণের অভিযোগ –

শার্শায় গোড়পাড়ার চাতাল মালিক হাফিজুর রহমানের নামে ধর্ষণের অভিযোগ -

যশোরের শার্শায় নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় চাতাল শ্রমিকের ৫ বছরের শিশুকে চাতাল মালিক হাফিজুর (৬০) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঐ শ্রমিককে জোর করে সাদাকাগজে কাজ না করার শর্তে লিখে নিয়ে গোপনে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৮টার দিকে। চাতাল মালিক হাফিজুর সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার জিওলীতলা গ্রামের ইদ্রিস আলী মোড়লের ছেলে।জানা যায়, চাতাল মালিক হাফিজুর শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় পাশাপাশি দুটি চাতাল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন।

ঐ চাতালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ঘুগরোখালি গ্রামের সাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার দিন সালমা খাতুন চাতালে মিলিং এর কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে অন্য চাতালে এসে দেখতে পায় তার ৫ বছরের মেয়ে কাঁন্না করছে।

এসময় তার মেয়েকে চাতাল মালিক হাফিজুর প্যান্ট পরাচ্ছেন। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় মা মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষা করে অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থা দেখতে পায়। হাফিজুর সালমা খাতুনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায় এবং বিষয়টি কোন প্রকার জানাজানি না হয়।

জানলে জীবন নাশের হুমকি দেয় তিনি। পরে মা সালমা এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বাধায় আর যাওয়া হয়নি। তাদের আটকিয়ে রেখে শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা জীবননাশের ভয় দেখিয়ে বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে সাদা কাগজে আর কাজ করব না বলে লিখে নিয়ে গোপণে পাঠিয়ে দেয়।

 খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা চাতালে গেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আয়নাল বলেন, সব সাংবাদিকদের আমার জানা। সকালে থানা থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিল আমি তাদের খুশি করে ঘটণাস্থল থেকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

পুলিশ-সাংবাদিকরা হাফিজুরের কিছু করতে পারবে না আমি থাকতে। এসব ঘটনা আমি কত মীমাংসা করেছি। আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাটি আমি যেভাবে চাপা দিয়েছি, আর এটাতো ধর্ষণ। চাতাল মালিক হাফিজুরের নিকট শিশু ধর্ষণের কথা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি এড়িয়ে তিনি বলেন, যশোরে কর্মরত এসপি মর্যাদায় কর্মকর্তা আমার বোন হয়। আপনারা চেনেন কি না?

ঘটণাস্থলে গিয়ে আরো জানা যায় , নিজামপুর ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী ডায়মন্ড মিয়া চাতাল মালিক হাফিজুরের ধর্ষণ বিষয়টি মিটিয়ে দিবে বলে ৭ হাজার টাকা নেয় ৷ ডায়মন্ডের থেকে বিষয়টি জানতে চাইলে যে সাংবাদিকের কাছে অস্বীকার করেন ৷

শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, আমি মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি আমি তদন্ত করার পর বলতে পারবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন