ট্রাস্টের সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে গোলাকান্দাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ রূপগঞ্জে দুর্গা মন্দিরে হামলা ঃ ফাঁকা গুলিবর্ষণ ঃ আহত ৮

ট্রাস্টের সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে গোলাকান্দাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ রূপগঞ্জে দুর্গা মন্দিরে হামলা ঃ ফাঁকা গুলিবর্ষণ ঃ আহত ৮


নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ট্রাস্টের সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাংচুর করে। জমি দাবি করে গোলাকান্দাইল-আড়াইহাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করে এক পক্ষ। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। ২৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে উপজেলার সাওঘাট ঋষিপাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৬ সালে গোকুল বাবু রায় এর ট্রাস্টের পক্ষের প্রমোথ নাথ রায়ের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন সাওঘাট এলাকার ব্যবসায়ী হাজ¦ী শের আলী ভুইয়া।

একই জমি গোকুল বাবু রায় এর ট্রাস্টের পক্ষের নুকুল চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে পাওয়ার ও বায়না সুত্রে মালিক হন সাওঘাট মধ্যেমনি ঋষিপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিদু বুষন দাস। ওই ৯ শতাংশ জমি শনিবার দুপুরে বালু ফেলে দখল করতে যায় সাওঘাট মধ্যেমনি ঋষিপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিদু বুষন দাসসহ তাদের লোকজন।

এসময় বালু ফেলে দখলে বাঁধা দেন জমির আরেক দাবিদার প্রতিপক্ষ হাজী শের আলীর ছেলে দিন ইসলাম, সিরাজ হোসেন, জহিরুলসহ তাদের লোকজন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা ও তর্কবিতর্ক হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের জয়মালা, রবিন, সজিব, রিত্তিক, মামুনসহ অন্তত আট জন আহত হন। এসময় হাজী শের আলীর একটি পিকআপ, মটরসাইকেল ও দোকানপাটসহ বাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। পরে ওই সম্পত্তির দাবিতে বিদু বুষন দাসের লোকজন গোলাকান্দাইল-আড়াইহাজার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এসময় সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মাহিন ফরাজি ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় তিনি বলেন, তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


সাওঘাট মধ্যেমনি ঋষিপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিদু বুষন দাস বলেন, সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে সম্পত্তি পাওয়ার ও বায়না সুত্রে মালিক হয়ে সেখানে মন্দির করতে গেলে বাঁধা দেয় তারা। হাজী শের আলীর ছেলে সিরাজ ভুইয়া বলেন, আমার বাবা ১৯৯৬ সালে এই সম্পত্তি বৈধ ভাবে রেজিষ্ট্রি করে ৩০ ফুট গভীর পুকুর বালু ভরাট করে ভোগদখলে আছি।

জোরপুর্বক ও অন্যায় ভাবে তারা চাচ্ছে আমাদের জমি দখল করতে। আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন