এমপি খোকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

এমপি খোকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের মৃত মাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা হয়েছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে বাদী হয়ে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁ আসনে মহাজোট থেকে মনোনীত জাতীয় পার্টির নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য এবং পার্টির যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলায় বাদী কায়সার হাসনাত অভিযোগ করেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সোনারগাঁ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে দরপত এলাকায় একটি উন্নয়নকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা তাকে ও তার মা মরহুম মমতাজ বেগমকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এই এমপি অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এবং পারিবারিক ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে অসৎ পথ অবলম্বন করেছেন। মামলায় বলা হয়, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ওই দিনের আলোচনাসভায় বলেছিলেন যে, “কায়সার সম্পত্তির জন্য নিজের মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে মাকে আদালতে দাঁড় করেছেন। যে সন্তান তুচ্ছ সম্পত্তির লোভে মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, তার কাছে জনগণ কী আশা করতে পারে।” এমপির এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে কায়সার হাসনাত ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।

কায়সার হাসনাত দাবি করেন, তার মায়ের বিরুদ্ধে তিনি কোনো ধরনের মামলা করেননি। সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। যার কারণে তিনি এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন। মামলার বাদী কায়সার হাসনাত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

বাদীর আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন আদালতে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, কায়সার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি ছাড়াও তার দাদা এবং চাচা সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বাবা ৪০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন এবং মা ছিলেন সমাজসেবিকা। সংসদ সদস্যের এমন মিথ্যা বক্তব্যে পরিবারটির সুনাম নষ্ট হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রেকর্ড গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তী আদেশ দেবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন