ধাপেরহাটে শিক্ষকের ভাড়া বাসা দখলে রাখার চেস্টা

ধাপেরহাটে শিক্ষকের ভাড়া বাসা দখলে রাখার চেস্টা

অবশেষে লিগাল নোটিশ।সাদুল্লাপুর গাইবান্ধা প্রতিনিধি:সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট হাসানপাড়া মৌজার সেই আলোচিত প্রভাবশালী আলহাজ্ব আজগার আলীর পুত্র জাকির হোসেন গংরা বি,এস,সি শিক্ষক মিলনের ভাড়া বাসা ছাড়তে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছেন। ১৮ মাসের বাসা বাড়া বাকি এবং চুক্তিপত্রের নিদিস্ট মেয়াদ শেষ হলেও ভাড়া বাসা ছেড়ে না দিয়ে পাল্টা ঐ জমির মালিককে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ভাড়াকৃত বাসাটি দখলে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে।

ঐ প্রভাবশালীরা গত পহেলা এপ্রিল/১৫ইং সালে তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে হাসানপাড়া মৌজায় ৭৮ দাগের মিলন লাইব্রেরীর পূর্ব পাশ্বে ১৪ফুট প্রস্তু এবং ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য আধাপাকা গোডাউনটি ২লাখ টাকা জামানত দিয়ে পাচ বছরের জন্য মাসিক চার হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে রড সিমেন্ট এর ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত এপ্রিল মাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বাসা মালিক নূর মোহাম্মদ মিলন বাসাটি ছেড়ে দিতে বললে ভাড়াটিয়া জাকির হোসেনরা তাদের নিজের বাসা বলে দাবি করেন।

মিলন তার বাসা ফিরে পেতে আদালতের আ¤্রয় নেয়। বিজ্ঞ আদালত ঐ জমির উপর ১৪৪ধারা জারির নিদের্শ দিয়ে স্থানীয় ভূমী অফিসের তহসিল দারকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ প্রদান করেন। স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিল দার ছামছুল ইসলাম সাবিন তদন্ত সাপেক্ষে গত ২০ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে জায়গাটি মিলনের উল্লেখ্য করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবুও থেকে নেই প্রভাব শালীরা। তহসিল দারের প্রতিবেদন মনোপুত না হওয়ায় তারা আবার পুনরায় তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানায়।

নিরুপায় হয়ে মালিক নুর মোহাম্মদ মিলন আদালতে জায়গা ও ভাড়াটিয়া বাসা ছাড়ার জন্য আবেদন জানালে তার পক্ষ হতে গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের এ্যাড: আশরাফ আলী ২৭ ডিসেম্বর ২০ ভাড়াটিয়া জাকির হোসেনকে ১৮ মাসের বকেয়া ভাড়া পরিষদ করে ভাড়াটিয়া রুমটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিগাল নোটিশ প্রেরণ করেন এবং ঐ লিগাল নোটিশটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে, দির্ঘদিন থেকে নালীশি ঐ জমিটি নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা একাধিক টিভি চ্যানেল ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তবুও টনক নরছেনা প্রভাব শালীর। এদের খুটির জোর কোথায় এলাকার সচেতন মহল তা জানতে চায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন