মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে গাংনীতে সংবাদ সম্মেলন

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে গাংনীতে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থে সাবেক চেয়ারম্যান  মোঃ আমিনুল ইসলামের নামে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।

শনিবার দুপুরে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে তার নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান রানা লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় সাবেক চেয়ারম্যান  মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


তিনি বলেন, রফিকুর রশীদ মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইটির পরিশিষ্ট-ঘ (পৃষ্ঠা ২৪৯) ও (পৃষ্ঠা ২৫৩ক্রমিক নং ২৭) তে লিখেছেন আমিনুল ইসলাম তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও শান্তি কমিটির সদস্য হিসাবে নাম লেখাতে বাধ্য হয়েছে)। আবার তিনি নিজেই ফুটনোটে উল্লেখ করেছেন যে, এ বিষয়ে তার ব্যপারে ভিন্নমত রয়েছে।

১৯৭১ সালে আমার বাবার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তার জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৮ ই অক্টোবর। এসময় তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ১৩ বছরের একজন গ্রামীন কিশোর কিভাবে, কার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন ? আমিনুল ইসলাম ইচ্ছার বিরুদ্ধেও শান্তি কমিটির সদস্য হিসাবে নাম লেখাতে বাধ্য হয়েছে মর্মে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে উক্ত নামটি বইটি হতে প্রত্যাহার করত প্রদত্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্যসমূহ ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধন করার জন্য লেখককে অনুরোধ করছি। 

অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক বস্তনিষ্ঠ ইতিহাস তুলে ধরার স্বার্থে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। আমার পরিবারের কেউই স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন না। আমার বাবা সম্পর্কে উল্লেখিত যে-তথ্য প্রদান করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একারণে পরিবারের পক্ষ থেকে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে আমাকে ও পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।

আমার বাবা ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠিনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ( শীতল কারিকর -আঃ হালিম) আমি ১৯৯২ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হই বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।

আমার ছোট ভাই মোঃ মকলেচুর রহমান রুবেল মেহেরপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থের লেখক রফিকুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলির প্রত্যক্ষদর্শীও নন। এমনকি তার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তার লেখা এই গ্রন্থে  অজস্র ভুল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। এতে করে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন