আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে এক গ্রামের ২২জন আহত

আশুগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে এক গ্রামের ২২জন আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হাসান জাবেদ


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামে শিয়ালের কামড়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয় দিন বয়সী এক কন্যা শিশু ও পাঁচ জন নারী রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই গ্রামের মধ্যপাড়া ইমামুদ্দিনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। 

আহতদের সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাদেরকে ওই হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। 

শেয়ালের কামড়ে মারাত্মক আহত মাইন উদ্দিন জানান, সে এবং তার ছয় বছর বয়সী ভাগ্নি ফৌজিয়া তার চাচাত ভাই গোলাপ মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ দুটি শিয়াল আসে। এর মধ্যে একটি শিয়াল তাদেরকে কামড়াতে থাকে।

এই দৃশ্য দেখে গোলাপ মিয়া একটি শিয়ালকে ঝাপটে ধরে। তাদের চিৎকারের শব্দে ওই পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের বাড়ির অন্যরা এগিয়ে আসলে শিয়ালটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এই ধস্তাধস্তি চলাকালেই বাকিরা শিয়ালের কামড়ে আহত হন। এ সময় উপস্থিত সবাই মিলে একটি শিয়ালকে মেরে ফেলে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আরেকজন আহত নিলুফা বেগম জানান, দু’টি শিয়াল ঘটনাস্থলে যাদের পেয়েছে তাদের সবাইকেই কামড়ে আহত করে। এসময় পুরো মহল্লা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত ২২ জন রোগীকে  জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। টিকা স্বল্পতার কারণে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিকা দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকে আজ রোববার জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জেলার বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার শেখেরকান্দি, খোশকান্দি ও কল্যাণপুর গ্রামে রাতের বেলা কয়েক দফা শিয়ালের কামড়ে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছিল। সেসময় বেশিরভাগ আহতদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে আহতদের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়

আপনি আরও পড়তে পারেন