রাজকিয় বিদায় নিলেন কনস্টেবল আবুল কাশেম ও হারুন

রাজকিয় বিদায় নিলেন কনস্টেবল আবুল কাশেম ও হারুন

এম.এস আরমান,নোয়াখালী


দীর্ঘ আত্মনিবেদন ও মানব সেবার ব্রত পালন শেষে বিদায় একজন মানুষের পেশাগত জীবনের শেষ দিনটিকে রঙ্গীন ও বর্ণাঢ্য করে তুলবে সন্দেহ নেই। ব্যাগ কাঁধে, ট্রাঙ্ক মাথায় নিয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে আসা নড়বড়ে পা দু’টোর ওপর ভর করে টলতে টলতে অবসরোত্তর ছুটিতে গমনকারী একজন কনস্টেবলের পাবলিক বাসে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টার সকরুণ চিত্রটি বদলে দিতে নোয়াখালীতে আয়োজন করাহয় ভিন্ন ধারার বিদায় অনুষ্ঠান।


পুলিশ কনস্টেবল/৩৭০ আবুল কাশেম ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে  দীর্ঘ ৩৯ বছর দায়িত্ব পালন শেষে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানা হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করেন। 


তার সম্মানে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনায় তাকে প্রীতি উপহার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব দীপক জ্যোতি খীসা। সংবর্ধনা শেষে তাকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে তার নিজ বাড়ী সদর উপজেলার বিনোদপুর  ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে পৌঁছে দেয় কবিরহাট থানা পুলিশ।

অপরদিকে ১৯৮২ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করা কনস্টেবল/৫১৭ হারুনর রশিদের বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ী। দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ পুলিশে সেবায় আত্মনিবেদন শেষে ২জানুয়ারী ২০২১ তারিখ অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করেন তিনি।


তার সম্মানে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনায় তাকে প্রীতি উপহার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মোঃ শাহ ইমরান ও টিআই, এস এম কামরুল ইসলাম পিপিএম। সংবর্ধনা শেষে তাকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে তার নিজ বাড়ী কুমিল্লা লালমাই থানার ভুলই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন