আসন সংখ্যা কমিয়ে গুনগত মান বৃদ্ধির পক্ষে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আসন সংখ্যা কমিয়ে গুনগত মান বৃদ্ধির পক্ষে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আজিজুর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রতি শিক্ষাবর্ষে একাডেমিক সক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার ফলে নানান সংকটে পড়তে হয় বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

এবিষয়ে হাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইনে একটি জরিপ চালিয়েছে “হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি”। 


একাডেমিক সক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শ্রেণীকক্ষ, ল্যাব, আবাসন, পরিবহন সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।৪ বছরের স্নাতক শেষ করতে সময় লাগছে ৫ বছর বা তারও বেশি।এতে অর্থনৈতিকসহ মানসিক চাপে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।


এজন্য আসন সংখ্যা কমিয়ে গুনগত মান বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকৃত প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী।


এমনটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনলাইন জরিপে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান। 


তিনি আরও বলেন,অনলাইন জরিপে ২১৮৬ জন অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে আসন সংখ্যা কমানোর পক্ষে ভোট দেন ১৯৫২ জন,যা শতাংশে প্রায় ৯০,অন্যদিকে আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মতামত ভোট দেন ১৮৪ জন,যা শতাংশে ৮, এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর মতামত প্রদান করেন ৫০ জন শিক্ষার্থী,যা শতাংশে ২।

আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা.মোঃ ফজলুল হক বলেন, আসন সংখ্যা কিছুটা কমানো হোক এটা আমিও চাই। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আসন সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো উচিৎ।
তবে কিছুটা বিপরীত মতামত দিয়েছেন ডিভিএম অনুষদের প্যাথলজি এ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশিদ। 


তিনি বলেন,আমি আসন সংখ্যা কমানোর পক্ষপাতী না। কেননা এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে না।


এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম জানান, আসলে আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারটি আমার একক কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। বিষয়টি ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক অ্যাডকমের মিটিংয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন