আলি হায়দার, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে অতিশয় আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড নয়াগাঁও-বেপারিপাড়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ অলি উল্লাহ (পানির বোতল) ৭৬৫ ভোট পায় এবং তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হাফেজ মাওঃ হুমায়ুন কবির নূরী (উঠ পাখি) ১২১১ পেয়ে নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অলিউল্লার মিয়ার ভাই, চাচা, ভাতিজা ও সমর্থকগন জয়ী প্রার্থী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে শ্যামল (২২) ও শামিম (১৮) আপন দুই ভাইকে (পিতাঃ আলাল মিয়া – নয়াগাঁও-বেপারিপাড়া) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে তাদের আশংকাজনক অবস্থায় তাদের প্রথমে কুলিয়ারচর সরকারি হসপিটাল নিলে, সেখান থেকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল রেফারড করলে সেখান থেকেও আরও উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করে। তাদের দুইজনের অবস্থায় অতিশয় আশংকাজনক। এছাড়া ওই হামলায় রাজিব (১১) পিতাঃ মনজিল হোসেন নয়াগাঁও-বেপারিপাড়া আরকে শিশুর হাত ভেঙে দেয় এবং হাফেজ হুমায়ুন কবির নূরীর সমর্থকদের দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর করে তারা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এই ঘটনায় বিকাল ৫ টায় ২নং ওয়ার্ড বাসি কাউন্সিলর অলি ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং কুলিয়ারচর থানায় দুপুরে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার দ্বায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ জানান, এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
