নবাবগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত

নবাবগঞ্জে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার নবাবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ উপজেলার বেনুখালী গকুলনগর এলাকায় (১৫ জানুয়ারি) শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে৷ 


জানা গেছে, উপজেলার আগলা ইউনিয়নের বেনুখালী গকুলনগর এলাকার বাহালুল খান ও শহিদুল খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল৷ জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়৷ এতে চারজন আহত হয়৷ আহত অবস্থায় বাহালুল খান ও তার ছেলে আমান খান এবং শহিদুল খান ও হেসেন খানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷ 


শহিদুল খান ও বাহালুল খান তারা সম্পর্কে একেঅপরে আপন চাচাতো ভাই৷ 
জানা গেছে, পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল৷ এমনকি এই বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার এলাকায় মিমাংসাও হয়৷ পরবর্তীতে শনিবার সন্ধ্যায় এলাকায় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এলাকায় সালিশি বসে৷ সালিশি শুরু হওয়ার আগমূহুর্তেই দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষ হয়৷   


বাহালুল খান অভিযোগ করে বলেন, শহিদুল ও আমি আপন চাচাতো ভাই৷ বেশ কয়েকবছর ধরেই জমির পরিমাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এসব বিষয়ে এলাকায় কয়েকবার গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা সালিশি করে দিলে শহিদুল কোনভাবেই মানেন না৷ পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেলে এসব সমস্যা নিয়ে এলাকায় সালিশির আয়োজন করা হয়৷

সালিশি শুরু হওয়ার আগেই শহিদুলের ভাতিজা সাইদুলের ছেলে বশির এসে আমাকে হাতুর দিয়ে মারধর করে৷ তখনও আমি লোন প্রতিবাদ করিনি৷ এলাকায় লোকজন মিলিয়ে দিলে আমার ছেলেকে নিয়ে চলে আসি৷ আসার সময় পথিমধ্যে শহিদুল, তার ভাতিজা বশিরসহ ৭-৮ জন আমাদের উপর হামলা করে৷ এতে আমার ছেলের হাত ভেঙে যায় এবং আমার মাথা ফেটে যায়৷ 


তিনি আরো বলেন, এসব বিষয়ে অভিযোগ করে নবাবগঞ্জ থানায় গত আড়াই মাস আগে একটি জিডিও করেছিলাম আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালে শহিদুল খান জানান, আমার মুরুব্বিরা আছে আমি কিছু বলতে পারবো না৷ হোসেন খান এবং আমি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি বলে জানান তিনি৷ 


এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জলিল জানান, এঘটনায় দুপক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং দু’পক্ষই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে৷ 

আপনি আরও পড়তে পারেন