দেবরের লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী, অবশেষে বাড়ি ছাড়া

দেবরের লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী, অবশেষে বাড়ি ছাড়া

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দেবরের লালসার শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন ভাবি। এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ওয়াশি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।  

গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ থাকেন। গত বছরের ২৮ জুলাই নিজ ঘরে প্রথমবার দেবর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তাকে। এরপর ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে দেবরকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তিনি জানান, প্রায় ১১ বছর আগে ওই প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে নয় বছরের একটি ছেলে ও সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ভাই বিদেশ থাকার সুযোগে ভাবিকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল দেবর সাইফুল। গত বছরের ২৮ জুলাই ভিকটিমের দুই সন্তান নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়।

এই সুযোগে সাইফুল রাতে ভাবির ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূ বিষয়টি তার শাশুড়িকে জানান। কিন্তু ছেলেকে রক্ষা করার জন্য কোনো বিচার না করে পুত্রবধূকে শিশুসন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান। সেই সঙ্গে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন।

এদিকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে ভাবিকে প্রায়ই ধর্ষণ করতে থাকে সাইফুল। স্বামীর সংসার রক্ষা ও শিশুদের বাঁচাতে বিষয়টি গোপন রাখে। এর মধ্যে গৃহবধূ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। 

বিষয়টি নিয়ে সালিশে কেশবপুর গ্রামের মাতবর চাঁন মিয়া, বরুটিয়া গ্রামের হায়দার, জাকির, শাহিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। গ্রাম্য সালিশে মাতব্বরদের মধ্যে দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। ন্যায় বিচার চান গৃহবধূ। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেবর বলেন, আমার বড় ভাই বিদেশ থাকেন। ভাবি কিভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এটা আমি জানি না। নিজের দোষ ঢাকার জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন