বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের স্মরণে নবাবগঞ্জে ধর্মীয় সভা

বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের স্মরণে নবাবগঞ্জে ধর্মীয় সভা

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.
অসহযোগ ও স্বদেশী আন্দোলনের মহান বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের ৬৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে তাঁর পৈত্রিক এলাকা ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর হালদার বাড়ি সংলগ্ন ছোট গোবিন্দপুর, গোল্লা, ময়মন্দি নাট মন্দিরে এ অনুষ্ঠান করা হয়। সভায় বিপ্লবীর স্মরণে মন্দিরে ধর্মীয় সভা, শ্রীমৎভাগবত গীতা পাঠ ও ভোগরাগের আয়োজন করেন এলাকাবাসী।
শ্রীমৎভাগবত গীতা থেকে পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রী নন্দ গোপাল গোস্বামী। ধর্মীয় সভায় আলোচনা করেন মন্দির কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা প্রদীপ কুমার হালদার, আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট দিপঙ্কর সরকার, নরেশ সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শশাঙ্কভূষণ পাল চৌধুরী, যন্ত্রাইল ইউপি সদস্য পবিত্র সরকার, স্থানীয় সমাজকর্মী নরেশ হালদার, নিত্যরঞ্জন চক্রবর্তী, অরুন সাহা, নিতিশ দে, সুজন হালদার প্রমুখ। এছাড়া প্রবাস থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বিষ্ণুপদ সাহা ও দিলিপ হালদার।
জানা যায়, ১৯০১ সালের ২৬মে মানিকগঞ্জের বায়রা গ্রামের মামা বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহন করেন। ১৯৫২ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার পিতা অরুণ চন্দ্র রায় ছিলেন ঢাকা জেলার সরকারি শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদাধিকারী। তাঁর স্ত্রী লীলা নাগও ছিলেন বিপ্লবী।
১৯১৪ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে জড়িয়ে পড়েন বিপ্লবী সংগঠনের সাথে। ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় পাস করেন তিনি। ১৯২১ সালে বিএ পাস এবং ১৯২৩ সালে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন।
আপন প্রতিভা গুণে ১৯২০ সালের দিকে ঢাকার সংগঠনের নেতৃত্ব চলে আসে তার হাতে। ১৯৩০ সালে কারারুদ্ধ থাকাকালীন সংঘের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী লীলা নাগ। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বারবার কারাবরণ করেছেন। কারাগারে থাকাকালীন রচনা করেছেন বিবাহ ও পরিবারের ক্রমবিকাশ, হেগেল প্রসঙ্গে, ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যা, সমাজতন্ত্রীর দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইত্যাদি গ্রন্থ। পরবর্তীতে ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অনিল চন্দ্র রায় প্রার্থী হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের স্নেহধন্য ছিলেন অনিল চন্দ্র রায়। মহাত্মা গান্ধীর ঢাকায় আগমন হয়েছিল তাঁরই নেতৃত্বে। তারই নামকরণের স্বাক্ষর রয়েছে নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদ গ্রামের গান্ধীর মাঠ। যেখানে স্বদেশী আন্দোলনের সভা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।

আপনি আরও পড়তে পারেন