অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা নেই: মিয়ানমার সেনাবাহিনী

অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা নেই: মিয়ানমার সেনাবাহিনী

অভ্যুত্থানের আশঙ্কা নাকচ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংবিধান মেনে আইন অনুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও মিয়ানমারে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানোর একদিন পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ বিবৃতি এল।

বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংবিধানের বিলুপ্তি নিয়ে তাদের কমান্ডার ইন চিফের সাম্প্রতিক সময়ে বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। তাতমাদাও ২০০৮ সালের সংবিধানের সুরক্ষা দিয়ে আসছে। বাহিনীটি আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।

দেশটিতে গত নভেম্বরের নির্বাচনের পর বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ পরিকল্পনা আছে তাদের।

এটি কি অভ্যুত্থান হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ‘সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

গতকাল শনিবার সেনাবাহিনীর দেওয়া বিবৃতিতে অভ্যুত্থান গুঞ্জনের পরিসমাপ্তি টানতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

গত বছর ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেয়েছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন। সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। দাবি মানা না হলে সেনাবাহিনী ফের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় তারা।

আপনি আরও পড়তে পারেন