বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়নে ফেরীর অভাবে সরক যোগাযোগ বিছিন্ন।

বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়নে ফেরীর অভাবে সরক যোগাযোগ বিছিন্ন।

জামাল কাড়াল বরিশাল প্রতিনিধি।
বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন কেদারপুর ও আগরপুর ফেরীর অভাবে সরক যোগাযোগ বিছিন্ন,অনেকদিন যাবত যা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইউনিয়ন যা হলো ০১ নং আগরপুর ইউনিয়ন (সাবেক) বর্তমানে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন (বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর নামে) ও ০২ নং কেদারপুর ইউনিয়ন। যা দ্বীপ ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত, অথচ এই দুটি ইউনিয়নের অবস্থান বরিশাল বিভাগীয় শহর, বাবুগঞ্জ উপজেলা, বাবুগঞ্জ থানা ও বাবুগঞ্জ বন্দর থেকে নিকটবর্তী উত্তর দিকে। কিন্ত আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থার এ যুগেও এই অঞ্চলের হাজার-হাজার মানুষ শুধু মাত্র ০২ টি ফেরির অভাবে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন।


বাবুগঞ্জ বাজারের (বাবুগঞ্জ-কেদারপুর) খেয়াঘাটে (সুগন্ধা নদী) ও আগরপুর-লাশঘাটা খেয়াঘাটের (সন্ধা নদী) এই দুই নদীতে উল্লেখিত দুই খেয়া ঘাটে দুই টি (০২ টি) ফেরী চালু করে বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ রুট হয়ে কেদারপুর-আগরপুর-শরিকল রুটে স্থায়ী ভাবে বাস রুট চালু করা সময়ের দাবী।


কেন এই ফেরী ০২টি দরকার ও সড়কটির পূর্ণ রুটে নিয়মিত সরাসরি বাস চলাচল প্রয়োজন? এ জন্য গণ মানুষের প্রত্যাশা ও বাস্তব সম্মত কয়েকটি যুক্তি মূলক তথ্য জানা যায়, বরিশাল শহরের নতুন বাজার থেকে লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ রুট হয়ে কেদারপুর-আগরপুর-শরিকল রুটে মোট দূরত্ব আনুমানিক ২৭ কিলোমিটার যার মধ্যে ২৬ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক ও বাস চলা-চল উপযোগী।

কার্পেটিং সড়ক বাদে বাকী শুধু মাত্র ০১ কিলোমিটার পথ হলো বাবুগঞ্জ বন্দর (বাবুগঞ্জ বাজার) ও বাবুগঞ্জ থানা থেকে ৫০০ মিটার পূর্ব পাশের পাঁচ রাস্তা বাস ষ্টেশন থেকে বাবুগঞ্জ বন্দর খেয়া ঘাট ও লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত এই ০১ কি: মি: বাইপাস সড়ক যা শুধুমাত্র প্রসস্ত করে সংস্কার করলেই যথেষ্ট।


এমনকি ঐ ০১ কি: মি: পথের মাঝে (আমতলী খালের উপর) এক মাত্র ব্রীজটি ভাড়ি যান বাহন চলা-চলের জন্য উপযুক্ত (১৮ ফুট x ৩০ ফুট) আর.সি.সি ব্রীজ, এই ২৬ কিলোমিটার সড়ক এর ২৩ কিলোমিটার সড়কে (০৩ টি অংশে) নিয়মিত বাস চলা-চল করছে, তাই শুধুমাত্র মাঝে (সুগন্ধা ও সন্ধা) ঐ ০২ টি নদীর খেয়া ঘাটে সরকারী ব্যাবস্থাপনায় ফেরী চলাচলের পদক্ষেপ গ্রহন করলে বড় ধরনের কোন বাজেট ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব।
ঐ অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বর্তমান কিছু সমস্যা ও ভবিষ্যৎ পরবর্তী সম্ভাবনা মূল্য পেতেন। কৃষি মৎস পন্যের সহজ পরিবহন ও ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তির সুযোগ। উচ্চতর শিক্ষা ও উন্নত চিকৎসার সুযোগ।প্রশাসনিক নিরাপত্তার অভাব দুর হবে।
ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুন্দর ভাবে করা যাবে।
অতিব জরুরী বিষয় টি মাননীয় এম.পি. মহোদয় ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সুরলিপি প্রদান।

আপনি আরও পড়তে পারেন