ইতালির রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় প্রবাসীরা

ইতালির রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় প্রবাসীরা

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইতালির চিরচেনা রূপ। বারবার সরকার পরিবর্তনের কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতালি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

ঘনঘন সরকার পরিবর্তন যেন ইতালির রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে। গত ৩০ বছরে ইতালির জনগণ পেয়েছে ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী ও ২০টি সরকার। এতে করে ইতালির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত প্রবাসীরাও।

এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, সরকার পতন ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন এ পটভূমি থেকে বের হয়ে ইতালিকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে দেশটিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না।

২০১৮ সালের মার্চের সাধারণ নির্বাচনের পর ফাইভ স্টার পার্টি ও লেগ্গা নর্থ মিলিতভাবে সরকার গঠন করেছিল। পরের বছর লেগ্গা নর্থ সরকার থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। পদত্যাগ করেন জুসেপ্পে কন্তে। দুই সপ্তাহের মাথায় আবারও সরকার গঠন করতে সক্ষম হলেও গেল ২৬ জানুয়ারি কন্তে আবার পদত্যাগ করে সরকার ভেঙ্গে দেন। এখন আবার তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার চেষ্টা করছেন তিনি।

স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসীদের মাঝেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন করোনার কঠিন সময় সামাল দেয়া জুসেপ্পে কন্তে।

অন্য এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, করোনার সময়ে ইতালিকে যেভাবে সামাল দিয়েছেন; তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমরা প্রবাসী হিসেবে জুসেপ্পে কন্তেকে ইতালির পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইতালিতে ৬৬ টি সরকার পরিবর্তন হলেও হাতে গোনা দু একটি সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন