এবার নেপালের সঙ্গে পিটিএ: চূড়ান্ত হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই

এবার নেপালের সঙ্গে পিটিএ: চূড়ান্ত হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই

ভুটানের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নেপালের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই চুক্তির সবকিছু চূড়ান্ত হচ্ছে চলতি মাসেই। দুই দেশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে যা স্বাক্ষরিত হবে মার্চের মধ্যেই।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বাঁশিধর মিশ্র। তিনি জানান, দু দেশের স্বার্থের সর্বোচ্চ সংরক্ষণ করেই ঐতিহাসিক এই চুক্তি করতে যাচ্ছে নেপাল ও বাংলাদেশ।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যের খরচ কমবে বাংলাদেশের। বিভিন্ন ধরণের পণ্য ভারতের চেয়ে কম দামে বেচাকেনা সম্ভব হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে এবং কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সাথে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় নেপাল।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব মাকছুমা আকতার, ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। কৃষির অগ্রগতির ফলেই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান অব্যাহত রয়েছে। দেশে ১০০টির বেশি উন্নত জাতের ধান ও প্রযুক্তি রয়েছে; এর মধ্যে অনেকগুলো মেগা ভ্যারাইটি। নেপাল এজাতগুলো বাংলাদেশে থেকে নিতে পারে। এছাড়া, দুদেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারকে’ বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এসময় ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, নেপালের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। কিন্তু নেপাল চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; বরং বছরে অনেক চাল আমদানি করতে হয়। সেজন্য, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি ধানের জাত নেপাল নিতে চায়। এছাড়া, বিভিন্ন ফসল, বীজ, উন্নত জাত, প্রযুক্তি, গবেষণাসহ কৃষির বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। 

এছাড়া, ভারত হয়ে নয়, আদা, এলাচিসহ গরম মসলা বাংলাদেশে সরাসরি রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসতে এসব পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি বাংলাদেশে আসলে দাম অনেক কম পড়বে। 

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ০২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সাথে নেপালের পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যাবে। এর আগে ভুটানের সাথে পিটিএ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন