বিচ্ছেদের পর প্রেম করায় যে শাস্তি দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন!

বিচ্ছেদের পর প্রেম করায় যে শাস্তি দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন!

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম! এই ‘অপরাধে’ শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে আদিবাসী মহিলাকে তিন কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে গুনা জেলায়। ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতা’র সমালোচনা করেছেন নেটাগরিকরা।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে কাঁধে চাপিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন ওই নির্যাতিতা। তার পেছন পেছন হাঁটছেন বেশ কয়েক জন যুবক। তাদের হাতে লাঠি, ব্যাট। তারা ওই মহিলাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছেন। বাইক নিয়ে মহিলার পিছন যেতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে।

আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে বলছে, গুনা জেলার সাগাই এবং বাঁশখেদি গ্রামের মধ্যেবর্তী একাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশও ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামীর সম্মতি নিয়েই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। তিনি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কেও ছিলেন। গত সপ্তাহে, প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের লোক বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং প্রকাশ্যে এ ভাবে লাঞ্ছনা করে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

মধ্যপ্রদেশের মহিলার সঙ্গে মধ্যযুগীয় ব্যবহার এই প্রথম নয়। বিগত বছরেও এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই সব ভিডিও ছড়ানোর পর সমালোচনাও হয়েছিল। কিন্তু তা মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। 

২০২০ সালের জুলাইয়ে সেখানকার ঝাবুয়া জেলাতে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছিল স্বামীকে কাঁধে নিয়ে এ ভাবে ঘুরতে। সেই অবস্থাতেই লাঠি করে গ্রামবাসীরা মারছিলেন তাকে। গ্রামবাসীদের লাঞ্ছনা মহিলার উপর হওয়া অত্যাচারকে আরও বর্বর করে তুলেছিল। ২০১৯ সালের এপ্রিলেও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীকে কাঁধে নিয়ে ঘোরার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল এক মহিলাকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন