২০৩০-এর মধ্যে ইউরোপে আসছে ফোর্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি

২০৩০-এর মধ্যে ইউরোপে আসছে ফোর্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি

মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড ২০৩০ সালের মধ্যেই পুরো ইউরোপে বৈদ্যুতিক গাড়ি সরবরাহ করবে। আর ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতেই এই প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রিক বা হাইব্রিড মডেলের সব গাড়ি প্রস্তুত থাকবে চলাচলের জন্য। পেট্রোল ডিজেলের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ দূষণ হ্রাস করতে জাগুয়ার, বেন্টলের মতো অনেক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মতো ফোর্ডও হাঁটছে একই পথে। 

ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা কার্বন নিঃসরণ রোধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও ব্রিটেনও পেট্রোল আর ডিজেলের মোটর গাড়ি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।

ফোর্ড জানায়, জার্মানির বৃহত্তম শহর কলগনেতে নিজেদের কারখানার অবকাঠামো বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য প্রস্তুত করতে ১শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই বড় পরিসরে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে চায় ফোর্ড।

ফোর্ড ইউরোপের প্রেসিডেন্ট স্টুয়ার্ট রওলি জানান, কলগনে থেকেই ফোর্ড সর্বপ্রথম ইউরোপে যাত্রা শুরু করে ৯০ বছর আগে। ফোর্ডের সফল কারখানাগুলোর মধ্যে এটি একটি। 

স্টুয়ার্ট বলেন, ইউরোপের গ্রাহকদের কাছে দায়বদ্ধতা থেকেই ফোর্ডকে যারা ভালোবাসে, তাদের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করতে চায় ফোর্ড। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় অন্যান্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেরও হাইব্রিড গাড়ি তৈরিতে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান তিনি। বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের ইউরোপেই ১৫ শতাংশ বাজার রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে তারাও বৈদ্যুতিক গাড়িতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে জাগুয়ার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্র্যান্ডই হবে আলাদা। জেনারেল মোটরস আর ভলভো কারসও একই ধরনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।

চলতি বছরই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিমানা হরা হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে, যদি তারা কার্বন নিঃসরণ রোধে ইইউ’র বেঁধে দেয়া মানদণ্ড অনুসরণ না করে।

ব্রিটেন জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যেই পেট্রোল আর ডিজেলচালিত সব গাড়ি নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে যুক্তরাজ্যে। বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য ফান্ডও দেবে ব্রিটিশ সরকার। ফ্রান্সও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যকর হবে ২০৪০ সালে।

আপনি আরও পড়তে পারেন