অটোরিকশার জ্বালায় চাঁদপুর বাশি অধিষ্ট।

অটোরিকশার জ্বালায় চাঁদপুর বাশি অধিষ্ট।

মোঃ রাসেল দেওয়ান চাঁদপুর প্রতিনিধি
বহু লেখালেখির পরও যানজটের সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। বরং দিন দিন তা জটিল থেকে জটিলতর আকার ধারণ করছে। যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থাপনার চরম বিশৃঙ্খলা। তাহলে শহরের এই যানজট আর কতদিন চলতে থাকবে। এর কি কোন সমাধানের উদ্যোগ নেয়া যায় না।চাঁদপুরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জুড়ে যেখানে সেখানে ইচ্ছেমতো গাড়ি পার্কিং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যেখানে সেখানে পড়ে থাকছে নির্মাণ সামগ্রীর স্তুুপ।

ভাঙাচোরা, খানা-খন্দে পূর্ণ রাস্তা একাংশ দখল, অর্ধেক রাস্তা জুড়ে থাকছে শত শত সিএনজি,অটোরিকশা  এলোপাতাড়ি পার্কিং। মাঝ রাস্তায় সিএনজি, অটোরিকশা  থামিয়ে চলে যাত্রী উঠানামা। ফুটপাতগুলো হকার বা দোকানদের দখলে চালকদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা। যানজটের কারণে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।চাঁদপুরে যতটুকু সড়কপথ আছে, তাতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানাবিধ পদক্ষেপ নিলে যানজট ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশ্বের বড় বড় শহর, এমনকি হজের সময় মক্কা, মদিনা, অলিম্পিক গেমসহ নানা বড় আসরের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে, সে সময় কত সহজেই না যানজট নিয়ন্ত্রণ করছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।ট্রাফিক বিভাগের হিসাবমতে, সড়কের কম করে হলেও ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি দখল হয়ে আছে অবৈধ পার্কিং এবং নানা ধরনের দখলদারদের হাতে।

এ ছাড়া ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় প্রধান সড়কেই হেঁটে চলেন চাঁদপুর বাসী। ফলে যানজটের সঙ্গে আছে জনজট।এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুরো শহরে একটি পার্কিং জোনে রূপান্তরিত হয়েছে। এসব অনাচার দেখার যেন কেউ নেই। ট্রাফিক বিভাগকেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। চাঁদপুর বাসী এর থেকে পরিত্রাণ চায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন