রূপগঞ্জে ’স’ মিলে অগ্নিকান্ড

রূপগঞ্জে ’স’ মিলে অগ্নিকান্ড

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাজী টিম্বার এন্ড ’স’ মিল নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। এসময় ’স’ মিলটির পাশে থাকা অন্তিম নিটিং, ডায়িং এন্ড ফিনিশিং নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পোশাক কারখানার ভেতরে আগুনে ধোঁয়া গেলে শ্রমিকরা আগুন লেগেছে এমন আতঙ্কে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। এতে করে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পোশাক কারখানাটির প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরপা এলাকার হাজী টিম্বার এন্ড ’স’ মিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে গাছ থেকে আসবাবপত্র তৈরির কাঠ তৈরি করা হয়। ’স’ মিলের পাশেই রয়েছে অন্তিম নিটিং, ডাইং এন্ড ফিনিশিং কারখানা। আর কারখানায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টার দিকে ’স’ মিল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কাঠের গুড়াতে হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। আগুন প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট উচুঁতে উঠে যায়। চারদিকে ধোঁয়া ছড়াতে থাকে। এসময় আগুনে পাশে থাকা অন্তিম নিটিং, ডায়িং এন্ড ফিনিশিং পোশাক কারখানায় আগুনের ধোঁয়া গেলে আগুন লেগেছে এমন আতঙ্ক হয়ে পড়ে শ্রমিকরা । এক পর্যায়ে আগুন আগুন চিৎকার করে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে তারাহুড়া করে পোশাক কারখানা তেকে বেরিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থান করে। পরে কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় শ্রমিকরা বুঝতে পারেন পাশের ’স’ মিলে আগুন লেগেছে। স্থানীয়রা প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।


স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার পাশে এ ধরনের ’স’ মিল থাকাটা নিরাপদ নয়। এছাড়া ’স’ মিলের কাঠের গুড়া (তুষ) যেখানে-সেখানে ফেলে রাখছে। ’স’ মিলের শ্রমিকরা কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনে বিড়ি-সিমগারেট পান করছেন। প্রায় সময়ই আগুনের ঘটনা ঘটলেও এ ব্যপারে কারো কোন নজর নেই। অন্তিম নিটিং, ডায়িং এন্ড ফিনিশিং কারখানার ডাইরেক্টর এইচআর এডমিন এন্ড কমপ্লাইন্ড দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাশের ’স’ মিলে আগুন লেগে ধোঁয়া আমাদের কারখানার ভেতরে গেলে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তবে কিছুক্ষণ পরে পুনরায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। ডেমড়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার ওসমান গনি বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান আগুন নেভানো হয়ে গেছে। তবে, পোশাক কারখানায় আগুন লাগার গুজব ছড়ানো হয়েছিলো। প্রকৃতপক্ষে ’স’ মিলে আগুন লেগেছে। সময় মতো আগুন নেভানোর কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন