সদ্যপ্রয়াত ডিআইইউ উপাচার্য অধ্যাপক কে.এম মোহসিন স্মরণে দোয়া-মাহফিল”

সদ্যপ্রয়াত ডিআইইউ উপাচার্য অধ্যাপক কে.এম মোহসিন স্মরণে দোয়া-মাহফিল"

জাফর আহমেদ শিমুল, সিনিয়র রিপোর্টার।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড.কে.এম মহসিনের মৃত্যুতে ‘ইংলিশ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন’ ও ‘এলিট ইংলিশ ক্লাবে’র উদ্যোগে দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইইউনিভার্সিটি’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ মহতী দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ডিআইইউয়ের ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট সহ বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্টের শিক্ষিক ও শিক্ষার্থীগণ ও উপস্থিত হন। প্রয়াত প্রফেসর ড.কে.এম মোহসিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বিভিন্ন শিক্ষকমন্ডলী এ অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার জনাব শাহ-আলম চৌধুরী হিমু এ মহতী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে বলেন, ‘প্রফেসর ড.কে.এম মোহসিন স্যারের মতো একজন ইতিহাসবিদের মৃত্যু মানে দেশের একটি ইতিহাসের অংশের মৃত্যু। ড.কে.এম মোহসিন আদ্যোপ্রান্ত একজন প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন। তিনি প্রকৃত জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে তাঁর জীবদ্দশায় একজন আলোকিত মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ও তাঁর শৈল্পিক শিক্ষকতা, একাডেমিক দক্ষতা,ও তাঁর উন্নত জীবন দর্শন সবার মাঝে বিলিয়ে দেবার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে দিতে পেরেছিলেন।

তিনি আরও বলেন প্রফেসর ড.কে.এম মোহসিন ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম ধারক-বাহক ও ইতিহাসের জ্বলন্ত সাক্ষী। ডিআইইউয়ের অন্যান্য শিক্ষকেরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।’ অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জনাব শাহ-আলম চৌধুরী, ক্যাম্পাস ডিরেক্টর জনাব শওকত আলী,উপাচার্য অধ্যাপক খাঁন মোহাম্মদের একমাত্র পুত্রসন্তান জনাব অমি ছাড়া ও এ অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের প্রায় সকল শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। এ মিলাদ-দোয়া মাহফিলে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীগণ উপাচার্য অধ্যাপক কে.এম মোহসিনের স্তুতি-বন্দনা করেন। তাঁর বিনম্র আচরণ ও বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর স্মতিচারণ করেন। উল্ল্যেখ্য গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল আটটায় প্রফেসর ড.কে.এম মোহসিন করোনাক্রান্ত হয়ে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ক্রিসেন্ট হসপিটালে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে অনন্তের পথে যাত্রা করেন।

অধ্যাপক ড.কে এম মোহসীন ১৯৩৭ সালের ২৭ মে রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৬৬ সালে তিনি লন্ডন থেকে পিএইচডি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সভাপতি, সলিমুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাতটি গ্রন্থ ও ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলিট ইংলিশ ক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করে গভীর শোক প্রকাশ করেন ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন