ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ইইউতে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিতে ধস!

ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ইইউতে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিতে ধস!

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে যুক্তরাজ্যের পণ্য রপ্তানি প্রায় ৪১ শতাংশ কমেছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে এই পরিমাণ রপ্তানি কমার বিপরীতে আমদানি কমেছে প্রায় ২৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ এর মধ্যে নতুন বাণিজ্য নীতি আরোপের পর এই প্রথম তথ্য প্রকাশিত হলো।

রপ্তানিতে ব্যাপক পতন হলেও পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে এটা সাময়িক। এদিকে সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ২ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে জানুয়ারিতে তৃতীয় দফার লকডাউন কার্যকরের পর। বর্তমানে দেশটির অর্থনীতির আকার করোনা পূর্ববর্তী অবস্থার তুলনায় ৯ শতাংশ কম।

পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, সবশেষ লকডাউনে রেস্তোরা, পার্লার, খুচরা পণ্যের ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে লোকসানে পড়েছে। উৎপাদনখাতেও গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় গত এপ্রিলের পর বড় রকমের পতন হয়েছে। তারপরও করোনা-ভ্যাকসিন কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদারে অন্যান্য খাতের ক্ষতি কিছুটা কমেছে বলে মনে করে সংস্থাটি। জানুয়ারি স্বাস্থ্যখাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরে জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি কমেছে ৫শ’৩০ কোটি পাউন্ডের পণ্য।

বিপরীতে আমদানি কমেছে ৮শ’ ৯০ কোটি পাউন্ডের পণ্য। ব্রেক্সিট অন্তর্বর্তীকালীন যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ট্রাক ও লরি ড্রাইভারদের সীমান্তে চলাচলে করোনা সনাক্ত করায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

এসময় মূলধনী যন্ত্রপাতি ও পরিবহণ যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক পণ্য ইউরোপের অন্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে কম এসেছে। গাড়ি, ওষুধ এবং স্বাস্থ্যখাতের পণ্যেও একই ধারা লক্ষ্য করা যায়। তবে আশার কথা হলো জানুয়ারি তুলনায় বর্তমানে বাণিজ্য পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান দপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ব্যবসায়ীরা ব্রেক্সিটের অন্তর্বর্তী সময় পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে কম আমদানি করে হয়তো তাদের মজুদ শেষ করার বিষয়ে মনোযোগী ছিলো।

আপনি আরও পড়তে পারেন