চরফ্যাশনে প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যৌন নিপীড়ন, থানায় অভিযোগ

চরফ্যাশনে প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যৌন নিপীড়ন, থানায় অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানা এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে দুলাল হোসেন নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় দুলালের পরিবারের লোকজন নির্যাতিত গৃহবধূকে মারধর করে আহত করেছেন বলেও অভিযোগ।

হামলায় আহত গৃহবধূকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে রাতে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ও তার বাবা শাসুদ্দিন, ভাই ইমন, মা নাজমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে দক্ষিণ আইচা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে নিপীড়নের শিকার নারীকে সমঝোতার জন্য চাপ দিচ্ছে।  

শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে নজরুল নগর ইউনিয়নের চর আরকলমী গ্রামে অভিযুক্তের বাড়ির পাশের খাল পাড়ের রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুলাল হোসেন একই গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুলাল হোসেন বিজিবি সদস্য। একই গ্রামে বসবাসের সূত্রে বিজিবি সদস্য দুলাল হোসেন ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসলে ওই গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ভয়-ভীতি দেখাত। ঘটনার দিন গৃহবধূ অভিযুক্ত দুলালের বাড়ি সংলগ্ন খালপাড় হয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন।

এসময় দুলাল তাকে ঝাপটে ধরে যৌন নিপীড়ন করেন। এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। মারধরে শিকার হয়ে ওই গৃহবধূ দুলালের বাড়িতে গিয়ে অভিভাকদের জানালে, তার বাবা শাসুদ্দিন ও ভাই ইমন, মা নাজমা মিলে তাকে বাড়ির উঠানে ফেলে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে। আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

গৃহবধূর বাবা জানান, হামলাকারীদের মারধরে গুরুতর আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চরফ্যাশন হাসপাতালে আনার পর দুলাল হোসেন দলবল নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে তাকেও মারধর করে। 

এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করলেও মামলটি নথিভুক্ত না করে বিবাদীদের সঙ্গে সমোঝতার জন্য চাপ দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে পুলিশ।

তবে অভিযুক্ত দুলাল হোসেন জানান, যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সঠিক নয়। আমার পরিবার ও আমাকে হয়রানির করার জন্য অহেতুক অভিযোগ তুলেছে। উল্টো তার পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ করেন দুলাল। 

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান, ভিকটিমকে সমঝোতার জন্য চাপ দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। ঘটনাটির তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আপনি আরও পড়তে পারেন