মৌসুমি ফল আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত

মৌসুমি ফল আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুবৈচিত্র্যের পালাবদলে বছর ঘুরে আবারও এসেছে গ্রীষ্মকাল। বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসাব অনুযায়ী— এখন চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। এ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি মৌসুমি ফলে বাজার থাকে সয়লাব।

ফল আল্লাহতায়ালার এক অনন্য নেয়ামত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। আর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টিবর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উদ্গত করি, যেগুলোর ফল ও ফসল আহরণ করা হয়।’ (সুরা কাফ : ৭-৯)।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষ যখন অস্থির হয়ে পড়ে, তখন আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন সুস্বাদু ও সুমিষ্ট মৌসুমি ফল দ্বারা মানুষের রসনাকে সিক্ত করেন। এসব ফল খেয়ে মানুষ গরমের তীব্রতা থেকে স্বস্তি লাভ করে। আল্লাহতায়ালা মানুষকে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন প্রকার ফল দান করেছেন।

আল্লাহ প্রদত্ত এসব ফলের বৈচিত্র্য সম্পর্কে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে— ‘তিনি তোমাদের জন্য বৃষ্টির দ্বারা উৎপাদন করেন ফসল, জয়তুন, খেজুর, আঙুর এবং সর্বপ্রকার ফলমূল। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।’ (সুরা নাহল : ১১)

আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে উৎপাদিত এসব মৌসুমি ফলের উপকারিতা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা করতে শুরু কর, তবে তা শেষ করতে পারবে না।’ (সুরা নাহল : ১৮)।

ফলমূল যেহেতু আল্লাহতায়ালার এক বিশেষ অনুগ্রহ, তাই আমাদের উচিত ফল খেয়ে তার এই বিশেষ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। আর ফল খাওয়ার সময় নবীজির (সা.) শেখানো দোয়া পাঠ করা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) মৌসুমি ফল খাওয়ার সময় আমাদের নিম্নোক্ত দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا

উচ্চারণ:  আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি ছামারিনা; ওয়া বারিকলানা ফি মাদিনাতিনা; ওয়া বারিকলানা ফি সায়িনা ওয়া ফি মুদ্দিনা।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের ফলসমূহে আমাদের জন্য বরকত দাও; আমাদের শহরে আমাদের জন্য বরকত দাও; আমাদের জন্য আমাদের ‘সা’ এবং আমাদের ‘মুদ্দ’ (পরিমাপ) এ বরকত দাও। (হিসনুল হাসিন)

মৌসুমী যেকোনো ফল খাওয়ার সময় এ দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর বরকত লাভ করা যাবে; পাশাপাশি ওই ফলের পরিপূর্ণ উপকারিতা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দান করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন