মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রধান ভূমিকা নেবে তুরস্ক। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করিয়েছে তুরস্ক।
বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বলে আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে।
গত সোমবার বাইডেন-এরদোগান বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেক সুলিভান বলেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে টার্কিশ মিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা।
তিনি বলেন, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় তুরস্ক মুখ্য ভূমিকা নেবে; এ ব্যাপারে দুই নেতার অবস্থান স্পষ্ট। এখন বিষয়টি কীভাব কার্যকর করা যায়; সে ব্যাপারে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
সোমবার ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এরদোগান। তিনি বলেন, ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে তুর্কি মিশনে পাকিস্তান ও হাঙ্গেরির সম্পৃক্ততা চায় তুরস্ক।
এদিকে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্ক যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।
দোহাভিত্তিক তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, ২০ বছর ধরে তুরস্ক ন্যাটোর অংশ ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তুরস্কের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক একটি ইসলামী দেশ। তুরস্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে যখন আমরা নতুন ইসলামী সরকার গঠন করব তখন তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ভালো সম্পর্কের প্রত্যাশা করি।