ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রি করতে চান মুক্তিযোদ্ধা-লেখক সাইফুল্লাহ নবীন

ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রি করতে চান মুক্তিযোদ্ধা-লেখক সাইফুল্লাহ নবীন

আয় না থাকলেও থেমে নেই ব্যয়। জমি বন্ধক রেখে করোনার দুই বছরে ঋণ হয়েছে তিন লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের উপায় না পেয়ে এখন কিডনি বিক্রি করতে চান মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৯ গ্রন্থের লেখক ও চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীন।

ঋণ শোধে কিডনি বিক্রি করতে চান মুক্তিযোদ্ধা-লেখক সাইফুল্লাহ নবীন
বিষয়টি লজ্জাজনক জানিয়ে তার পাশে সরকার ও বিত্তবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। আর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। 

করোনায় থমকে গেছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। আয় নেই হাজার হাজার লোকের। কিন্তু খরচ তো থেমে নেই। সংসার চালাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি কাজ। তাই জমি বন্ধক রেখে করোনার দুই বছরে ঋণ হয়েছে তিন লাখ টাকা। কিন্তু টাকা পাবেন কোথায়। 

টাকা শোধে তাই নিজের জীবনটাকেই ঝুঁকিতে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। অর্থ সংগ্রহে বেছে নিয়েছেন কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত। 

মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের অশ্বিণী কুমার হলের সামনে লেখক ও চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীন দাঁড়ান।
সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, করোনাকালে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছি। ৩ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে। জমি বন্দুক রেখে, মানুষের কাছে ধারদেনা করে চলছি। এ অবস্থায় আমি কিডনি বিক্রি করতে চাই।         

তিনি টাকার জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন, কতটা কষ্টে থাকলে মানুষ এটা করতে পারেন, আমরা তার পাশে দাড়ানি বিষয়টি লজ্জাজনক জানিয়ে তার পাশে সরকার ও বিত্তবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার জোটের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল আলম। 

সময় টিভির রিপোর্টারের মাধ্যমে খবর জেনে তাৎক্ষণিক পাঁচ হাজার টাকা তার জন্য পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক। দিয়েছেন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও। 

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, করোনার কারণে তিনি ৩ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু জেলা প্রশাসক হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে তার পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। জেলা প্রশাসনের ভিত্তিতে যা করা যায় সেটা করা হবে।     

সাইফুল্লার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৯টি। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১০টি শিশুতোষ ২১টি উপন্যাস, ১৪টি আর ছবি আকার ৪টি বই। তার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা গ্রামে।

আপনি আরও পড়তে পারেন