জি কে শামীমকে দেওয়া টাকা ফেরত আনল গণপূর্ত অধিদপ্তর

জি কে শামীমকে দেওয়া টাকা ফেরত আনল গণপূর্ত অধিদপ্তর

প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই আলোচিত জি কে শামীমের ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে দেওয়া ১০ কোটি টাকা ফেরত এনেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ঝুঁকিপূর্ণ বেজমেন্ট নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া ওই অর্থ জমা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই আলোচিত জিকে শামীমের ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে দেয়া ১০ কোটি টাকা ফেরত এনেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর
এদিকে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের দাবি করে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর হুঁশিয়ারি, গণপূর্তের যেসব কর্মকর্তার যোগসাজশে এ অনিয়ম, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত নামে-বেনামে বহু প্রকল্পের কাজ ছিল বিতর্কিত জি কে শামীম সিন্ডিকেটের কবজায়। 

যদিও বিপত্তি বাঁধে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল প্রকল্পে। ২৪ মাস সময় বেঁধে দিয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিকে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় তিনটি বেজমেন্টসহ ১২ তলা বর্ধিত ভবন নির্মাণ কাজ। চার মাসে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয় ৩৯ ফুট গভীর বেজমেন্ট নির্মাণ। আর এ কাজেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবদার রক্ষায় তিন কিস্তিতে অর্থ ছাড়ের পর চতুর্থ ধাপে এসে বিল ছাড়াই দেওয়া হয় অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা। এ নিয়ে নানামুখী সমালোচনার পর গণপূর্ত অধিদপ্তর উদ্যোগ নেয় টাকা ফেরত আনার। 

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তার বলেন, ওই সময়ের নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে (শামীম) ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অ্যাডিশনাল প্রেমেন্ট করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি ) দপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।      
এ অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তারাও রেহাই পাবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর দাবি, শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। 

তিনি আরও বলেন, যে কর্মকর্তা এটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাকে অপসরণ করে রিজার্ভে নিয়ে আসা হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের জি কে শামীমের মতো সিন্ডিকেট আশা করি এটা আর হবে না।   

আইন প্রয়োগে ঢিলেমির কারণেই এমন অনিয়ম হচ্ছে বলে মনে করছেন, উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের (জি কে শামীম) কাছ থেকে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ফেরত এনে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা বেস্ট প্র্যাকটিস। অনেক আইন আছে কিন্তু সেটার প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই না। এক্ষেত্রে কেউ যদি কাজ না করে টাকা তোলে তাহলে তাকে যদি শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে অন্যারা কিন্তু সেখান থেকে কোনো কিছু শিখতে পারবে না।   

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৭টি প্রকল্প বাগিয়ে নেয় জি কে শামীমের ঠিকাদারি সিন্ডিকেট। যার সবগুলো বাতিল করে আবারো দরপত্রের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন ঠিকাদার।

আপনি আরও পড়তে পারেন