রূপগঞ্জের আগুন : ৪৫ মরদেহ শনাক্তে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ

রূপগঞ্জের আগুন : ৪৫ মরদেহ শনাক্তে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মরদেহ শনাক্তে কাজ করছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।

রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৪৫ মরদেহ শনাক্তে ৬৩ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছ সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর ৩টায় রূপগঞ্জে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পুড়ে যাওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিকেল থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। পুড়ে যাওয়ায় মরদেহগুলোর দাবিদার বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানদের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নেয় সিআইডি।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ অ্যানালিস্ট দীপংকর দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে আমাদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার ১৯ মরদেহ শনাক্তে ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার ২১ মরদেহ শনাক্তে ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ শনাক্তে সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন দিনে ৪৫ মরদেহ শনাক্তে ৬৩ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি মরদেহ থেকে টিস্যু সংগ্রহ করতে পারতাম তাহলে ডিএনএ প্রোফাইল তাড়াতাড়ি করা যেত। কিন্তু আগুনে পুড়ে যাওয়ায় টিস্যু সংগ্রহ করা যায়নি। ফলে হাড় সংগ্রহ করে সেখান থেকে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে হচ্ছে। যার ফলে সময় বেশি লাগবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন