নওগাঁয় সড়ক যেন পুকুর!! দুর্ভোগে শত শত মানুষ

নওগাঁয় সড়ক যেন পুকুর!! দুর্ভোগে শত শত মানুষ

বিকাশ চন্দ্র প্রাং, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বৃষ্টি হলেই যেন ছোট পুকুরে পরিণত হয়। মাত্র ৫০মিটার ড্রেনের জন্য এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ড্রেন নির্মাণের জায়গা না থাকায় দির্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অথচ সামান্য উদ্যোগই হতে পারে শত শত মানুষের দুর্ভোগ থেকে মুক্তির সন্ধান।

জানা গেছে, ধামইরহাট পৌরসভার অন্তর্গত নিমতলীর মোড় থেকে এলাকার সর্ববৃহৎ ধামইরহাট হাটে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। রবিবার হাটের দিন হাজারো হাটুরে এ রাস্তা ব্যবহার করে থাকে। রাস্তাটি অনেক দিন পর পৌরসভার উদ্যোগে সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার পার্শ্বে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ধামইরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পার্শ্বের চেয়ে রাস্তাটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তার পার্শ্বে ব্যক্তি মালিকানায় মার্কেট ও বাসাবাড়ী রাস্তা থেকে উঁচুতে নির্মাণ করায় সহজে পানি রাস্তায় নেমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এ জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাটি এক সময় ছোট পুকুরে পরিণত হয়। এ রাস্তা দিয়ে মসজিদে প্রতিদিন শত শত মুসল্লি ও এলাকাবাসী চলাচল করে। মূল রাস্তা থেকে মাত্র ৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হলে এ দূর্ভোগ থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পেতো। ধামইরহাট পৌর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তা সংলগ্ন হাট ইজারা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। আর হাটে যাওয়ার এটি অন্যতম প্রধান সড়ক। আর এ সড়কের বেহাল দশা মানুষকে ভোগান্তি ফেলেছে। বর্ষা মওসুমে এ ড্রেন নির্মাণ না করায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

ধামইরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী সামু প্রসাদ সাহা বলেন, দির্ঘদিন ধরে এ রাস্তার পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ধামইরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন বলেন, রাস্তার পার্শ্বে জায়গা না থাকায় এই ড্রেন নিমার্ণ করা যাচ্ছে না। জায়গা পেলে সাত দিনের মধ্যে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।

ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান বলেন, ওই রাস্তাটি আমি পরিদর্শন করেছি। মসজিদের সামনের রাস্তার ড্রেন খুবই জরুরী। কিন্তু রাস্তার পার্শ্বে লোকজন এমনভাবে ইমারত নির্মাণ করেছে সেখানে ড্রেন করার কোন জায়গা নেই।
মসজিদের সামনে জায়গা পেলে জরুরী ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এলাকাবাসী জায়গা ছেড়ে দিলে অচিরে ড্রেন নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। জনগণের সেবার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ সবকিছুই করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন