‘কঠোর বিধিনিষেধের’ শেষ দিনে সড়কে তৎপর পুলিশ

‘কঠোর বিধিনিষেধের’ শেষ দিনে সড়কে তৎপর পুলিশ

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের আজ শেষ দিন। বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই সড়কে বেড়েছে মানুষ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ। তবে বিধিনিষেধ মানাতে চেক পোস্টগুলোতে আগের মতোই তৎপর পুলিশ।

সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলোকে চেকপোস্টে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি-৩২, পান্থপথ রোড ও কলাবাগান এলাকার বিভিন্ন চেকপোস্টগুলোতে এমন চিত্রই দেখা যায়।

বিধিনিষেধের শেষ দিনে সড়কে বেড়েছে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের প্রবণতা। যাত্রী নেওয়ায় পুলিশের চেকপোস্টে অনেককে মামলার মুখোমুখিও হতে হয়েছে।

dhaka post

ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ও থানা পুলিশের সম্মিলিত চেকপোস্ট পরিচালনা করতে দেখা যায়। দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সার্জেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আজ মধ্যরাত থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হবে। তখন গণপরিবহনসহ অন্যান্য মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হবে। তার আগ পর্যন্ত বিধিনিষেধ রয়েছে, সেটা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।

এদিকে, লকডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকেই দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলোতে শুরু হয়েছে টিকেট বিক্রি। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে অনলাইনে টিকেট বিক্রি হলেও আজ সকাল থেকে কাউন্টার খুলে টিকেট বিক্রি করতে দেখা যায় অনেক পরিবহনকে। পান্থপথ রোডের হানিফ পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন, গ্রীন সেন্টমার্টিন পরিবহন, ডলফিন চেয়ার কোচসহ বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে সশরীরে টিকিট কাটতে আসছেন অনেকে।

dhaka post

ডলফিন চেয়ার কোচের কাউন্টার মাস্টার মো. জুবায়ের জানান, গণপরিবহন চালুর খবরের পর থেকেই যাত্রীরা টিকিট কিনতে আসছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত সোয়া ১০টায় প্রথম নাইট কোচ ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে। কালকের প্রথম ট্রিপের সবগুলো সিটই ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।

বিধিনিষেধের ১৪ দিনের বিরতির পর আজ রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে প্রথম ট্রিপের বাস ছাড়বে সেন্টমার্টিন পরিবহন। পান্থপথ কাউন্টারের ম্যানেজার নাজমুল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ রাত থেকে আমাদের গাড়ি চলাচল শুরু করবে। সশরীরে কাউন্টারে আসার চেয়ে অনলাইনেই অথবা মোবাইল ফোনে মানুষ বেশি আসন নিশ্চিত করছেন। প্রথম দিন হয়তো কিছুটা কম যাত্রী থাকবে। কাল থেকে যাত্রী বাড়বে বলে আশা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন