কুষ্টিয়ায় ঝরল আরও ১০ প্রাণ

কুষ্টিয়ায় ঝরল আরও ১০ প্রাণ

গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ জন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।

এদের মধ্যে করোনায় সাতজন এবং তিনজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ শয্যার করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৮০ জন। এর মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ২১৯ জন এবং ৬১ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে নতুন ৭৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৩  জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৭ জনে। শনাক্ত ২০৩ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৭৪ জনে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২০৩ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১০২ জন, দৌলতপুরের ৪৫ জন, কুমারখালীর ৮ জন, ভেড়ামারার ২৬ জন, মিরপুরের ১৬ জন ও খোকসার ৬ জন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৭৬ হাজার ৯৮১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭২ হাজার ৯৯৬ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২৪ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৬৩৫ জন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তেই আছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন