সম্রাটের বুকে তীব্র ব্যথা, হার্টবিটও বাড়ছে-কমছে

সম্রাটের বুকে তীব্র ব্যথা, হার্টবিটও বাড়ছে-কমছে

ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত সম্রাট কয়েকমাস ধরেই বিএসএমএমইউয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতে বুকে ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারা অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালে সম্রাটের নিরাপত্তায় কারারক্ষী ও শাহবাগ থানার পুলিশ রয়েছে। তিনি বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তারা সম্রাটকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। শুক্রবার তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিএসএমএমইউ’র বরাতে কারা অধিদফতর জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সম্রাট বুকের বাম পাশে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন। তার হার্টবিট কখনো দ্রুত চলছিল, কখনো থেমে থেমে চলছিল। চিকিৎসকদের নির্দেশনায় তাকে তৎক্ষণাৎ সিসিইউতে নেওয়া হয়।

কারাসূত্র জানায়, সম্রাট কারাগারে আসার পর থেকে প্রায়ই তার হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমবার তাকে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হলেও পরবর্তী সময় থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে রাখা হচ্ছে।

আদালতে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী যুবলীগের সাবেক এই নেতা ২৩ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারি ও ভালভ প্রতিস্থাপন করিয়েছেন। তিনি প্রায় ২২ মাস ধরে কারাগারে আছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার সময় নাম আসে সম্রাটের। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলাও হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন