হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হয় আইসোলেশন সেন্টারে

হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হয় আইসোলেশন সেন্টারে

গেল কয়েক দিনে কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় রোগীর চাপ সামলাতে খোলা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে আইসোলেশন সেন্টার। ৫০ শয্যার সেন্টারটি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করছে হোপ ফাউন্ডেশন। কিন্তু কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে সেন্টারে যাওয়ার সংযোগ সড়কটি। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার কবিতা চত্বর এলাকায় আইসোলেশন সেন্টারে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী, স্বজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

করোনা রোগীর স্বজন সাইফুল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। হাঁটুপানি পাড়ি দিতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। সবাই এই পথ ধরে যাতায়াত করলেও কেউ দেখে না দেখার ভান করছে। দ্রুত এ সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

রোগীর স্বজন নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন সিএনজি অটোরিকশার চালক হামিদুল হক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কের হাঁটুপানি পাড়ি দিতে গিয়ে মাঝপথে আটকে গেছে গাড়ি। দুই ঘণ্টা ধরে আটকে আছি।

বিষয়টি স্বীকার করে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে বর্তমানে ২৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের খাবার, ওষুধ থেকে শুরু করে সবকিছুই বহন করছি আমরা। কিন্তু সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সবার কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে রোগী বহনকারীদের।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করেছি। তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনি আরও পড়তে পারেন