ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে যত রেকর্ড বাংলাদেশের

ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে যত রেকর্ড বাংলাদেশের

সিরিজ জেতা হয়ে গেছে, গড়া হয়ে গেছে ইতিহাসও। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজে অনেক অচেনা রেকর্ডের স্বাদও পেয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৩১ রানের পুঁজি নিয়ে। নিজেদের ইতিহাসে এরচেয়ে কম রান করে আর কখনো জেতেনি বাংলাদেশ। সে রেকর্ডটা তিন দিনের ব্যবধানে আবারও ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে যে দল জিতেছে ১২৭ রানের পুঁজি নিয়েই।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা যেন এতদিন বাংলাদেশের কাছে কিছুটা দুর্বোধ্যই ছিল। হার আছে র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচুসারির দলের কাছে। নিজেদের র‍্যাঙ্কিংও তো নেমে গেছে শীর্ষ দশের বাইরে! আর তাই এখন খেলতে হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব! টি-টোয়েন্টিতে ম্লান পারফর্ম্যান্সের কারণে টানা জয়ের কীর্তিও গড়া হয়নি কখনো।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা দেখলে অবশ্য এমন অতীতের কথা মাথায় আসারই কথা নয়। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই নিশ্চিত হয়ে গেছে জয়। এবার অপেক্ষা হোয়াইটওয়াশের।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিটা জিতে দেশে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা তৃতীয় এই জয়। তাতে অনন্য এক স্বাদ পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে এর আগে আর কখনো টানা চার ম্যাচে জয় পায়নি দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন জয়ে এবারই প্রথম পেল টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ধারায় থাকার অনির্বচনীয় স্বাদ।

এ নিয়ে ঘরের মাটিতে শেষ সাত টি-টোয়েন্টিতেও এল জয়। সর্বশেষ হারটা এসেছিল সেই দুই বছর আগে, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে হেরেছিল স্বাগতিকরা। সেই থেকে ঘরের মাঠে আর কেউ হারাতে পারেনি বাংলাদেশকে।

ঘরের মাঠে এমন অপ্রতিরোধ্য ফর্মটা বাংলাদেশ ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। তাতে আট বারের চেষ্টায় সিরিজ জয় পাওয়া গিয়েছে প্রথম বারের মতো, সব মিলিয়ে যা পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় বাংলাদেশের।। ২০১১ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের হিসেব করলে অবশ্য বাংলাদেশ অপরাজিত আছে অজিদের বিপক্ষে। এর আগে ২০১৭ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা ড্র করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

তবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতক করে একটা ভিন্ন স্বাদের রেকর্ড করে ফেলেছেন অধিনায়ক রিয়াদ। সে ফিফটিটা তিনি পেয়েছেন ৫২ বলে, যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে মন্থরতম ফিফটি। এর আগে ২০১৩ সালে শামসুর রাহমান করেছিলেন ৪৭ বলে ফিফটি, মাহমুদউল্লাহর ফিফটি ছাড়িয়ে গিয়েছে সেটাকেও। তবে মাহমুদউল্লাহ কি সেটাকে খুব একটা মনে রাখবেন? দিন শেষে দলের জয়টাই যে মুখ্য!

আপনি আরও পড়তে পারেন