প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে
সাধন রায়,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কে,ডি, বুড়ি কুড়া সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত বছরের মার্চ মাস থেকে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে সরকার দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে।
সেই থেকে আজ অবধি স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের টাকা প্রধান শিক্ষক ও স্কুল সভাপতি স্লিপ বরাদ্দ ও রুটিন মেরামতের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটরা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সামান্য টাকা নিয়ে কোথাও কোথাও শিক্ষকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মোট ১৪৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রয়েছে। করোনার অযুহাতে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ স্কুলে ২০১৯/২০২০ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের টাকা  সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন।আর এর কিছু অংশ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২০২০/২০২১ অর্থ বছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দের অবস্থা আরো ভয়াবহ বলে যানা গেছে।
কে,ডি,বুড়ি কুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লিপ বরাদ্দ ৩৬ হাজার ও রুটিন মেরামত বাবদ ৬৪ হাজার ৭ শত ৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ একাউন্টে লালমনিরহাট সুনালী ব্যাংকে হিসাব নম্বরে ৩৪০১৫০৫১ তে উপজেলা শিক্ষা অফিস ৩১/৫/২১ তারিখে ও ৫/৮/২১ তারিখে দুই ধাপে মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৫০ টাকা জমা করে। চতুর প্রধান শিক্ষক মুকুল রায় কৌশলে স্কুলের কাজ না করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিজের বাড়ীর কাজ করা শুরু করেছে।ফলে ঐ এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কে,ডি,বুড়ি কুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল রায় সাংবাদিকদের বলেন,আমি সব টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছি স্কুলের কাজ করব বলে। কিন্তু স্কুলের কাজ না করে বাড়ীর কাজ কেন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা কি লেখার লেখার লেখেন। এমনি গত বছরের টাকার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেন নি।
জেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম নবি বলেন,আসলে করোনার কারনে আমরা কোন কাজ করতে পারছি না।এখন থেকে দেখছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন