ঘাটাইলে মরা গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হলো স্কুল-গোয়ালঘর, সরানো হয়নি ৭ দিনেও

ঘাটাইলে মরা গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হলো স্কুল-গোয়ালঘর, সরানো হয়নি ৭ দিনেও

সৈয়দ মিঠুন (ঘাটাইল) টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইলে বনবিভাগের একটি মরা গাছ পার্শ্ববর্তী স্কুলের ওপর পড়ে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভবনসহ দুটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী বন বিট কার্যালয়ের ভেতরে। গত ৭ আগস্ট ঘটনাটি ঘটলেও আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত গাছটি অপসারণের উদ্যোগ নেয়নি বনবিভাগ।

সাগরদিঘী শিশুকানন একাডেমির প্রধানশিক্ষক শওকত হোসেন জানান, বনবিভাগের সাগরদিঘী বিট কার্যালয়ের উত্তর সীমানায় একটি বড় গাছ দীর্ঘদিন ধরে মরে ছিল। গাছের পাশেই তার বিদ্যালয় অবস্থিত। গাছটি গত ৭ আগস্ট মধ্যরাতে শিকড় উপড়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ভবন এবং সেলিম হাবিবী নামে এক ব্যক্তির গোয়ালঘর বিধ্বস্ত হয়।

গাছটি না সরানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের পায়ে হাঁটার রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রায় ৩০ ফুট লম্বা গাছটি মরে গেছে। বারবার অনুরোধ করা হলেও স্থানীয় বিট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গাছটি কেটে অপসারণ করেনি। এখন উপড়ে পড়ার পর ছয়দিন পাড় হয়ে গেলেও গাছটি সরানো হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বলেন, করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ। এমনিতে তিনি আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর বনবিভাগের অবহেলার কারণে গাছ পড়ে একটি ঘর ভেঙে গেল। প্রতিবেশী সেলিম হাবিবী বলেন, গাছটি কেটে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা অনেক অনুরোধ করেছি। বনবিভাগ আমাদের পাত্তাও দেয় নাই।

সাগরদিঘী বিট কর্মকর্তা সিদ্দিক হোসেন জানান, গাছটি অনেক বড় হওয়ায় সরানো কষ্টকর। শ্রমিক খোঁজা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়ামাত্র সরিয়ে নেয়া হবে। বনবিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই গাছের ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন