পাথর নিলেই চাকরি, আশ্বাসে যুবতীকে ধর্ষণ জ্যোতিষীর!

পাথর নিলেই চাকরি, আশ্বাসে যুবতীকে ধর্ষণ জ্যোতিষীর!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতিষীর বেশ ধরে এক যুবতীকে পাথর দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগে মধ্যবয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে ওই যুবতীকে চাকরির জন্য পাথর ধারণ করার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় সে। অভিযোগ, এরপর যুবতীকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করে ধর্ষণ করে।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গোপালনগরের পার্লার এলাকার বাসিন্দা শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বছরখানেক আগে হরিণঘাটা থানার নগরউখড়ার এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শম্ভুর। সেই সময় ওই যুবতীর কাছে নিজেকে জ্যোতিষী বলে পরিচয় দিয়েছিলো সে। তবে আসলে সে পুরোহিতের কাজ করে।

পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন চাকরির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ২৯ বছরের ওই যুবতী। সে সুযোগই কাজে লাগায় শম্ভু। তার কাছ থেকে পাথর ধারণ করলে যুবতীর চাকরি হয়ে যাবে বলে দাবি করেছিলো সে।

বনগাঁ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সমীর দাসের দাবি, ৫৭ বছরের ওই ভুয়ো জ্যোতিষী বিবাহিত হলেও ওই যুবতীকে বিয়ে করতে চায়। জ্যোতিষী সেজে এর আগেও যুবতীকে পাথর দিয়েছে। পাথর ধারণ করলে ভালো চাকরি হবে, এই ভাঁওতা দিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে যুবতীকে তার বাড়িতে ডাকে। এরপর মেয়েটিকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়। সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করে। পাড়ার লোক জানতে পেরে চড়থাপ্পড় মেরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

সরকারি কৌঁসুলির আরো দাবি, যুবতীকে বিয়ে করার ইচ্ছেয় মাস দেড়েক আগে নিজের স্ত্রী-কেও খুন করতে চেয়েছিলো শম্ভু। সেই সময় সুযোগ বুঝে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।

আপনি আরও পড়তে পারেন